বিষয়ঃ- সুন্নাতের সংজ্ঞা, সুন্নাতে মুয়াক্কাদার সংজ্ঞা, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজসমূহ ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ১২ রাকআত হওয়ার দলীল।
★ সুন্নাতের সংজ্ঞাঃ-
যে সকল কাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবাগণ করেছেন তাকে সুন্নাত বলা হয়।
যেমন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
عليكم بسنتى وسنة
الخلفاء الراشدين المهديين
(তোমাদের ওপর আমার এবং আদর্শবান খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত অনুসরণ করা জরুরী)।
এই সুন্নাত আবার দুই প্রকার। যথাঃ
১. সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ
২. সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ।
নিম্নে এ দু’টির সংজ্ঞা দেয়া হলোঃ-
যেমন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
عليكم بسنتى وسنة
الخلفاء الراشدين المهديين
(তোমাদের ওপর আমার এবং আদর্শবান খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত অনুসরণ করা জরুরী)।
এই সুন্নাত আবার দুই প্রকার। যথাঃ
১. সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ
২. সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ।
নিম্নে এ দু’টির সংজ্ঞা দেয়া হলোঃ-
১. সুন্নাতে মুয়াক্কাদার সংজ্ঞাঃ-
যে সকল কাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা তাঁর সাহাবাগণ সবসময় করেছেন, বিনা ওজরে কোনো সময় তরক করেন নি তাকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বলা হয়।
যেমন- খৎনা করা, আযান-ইকামাত দেয়া, বিবাহ শাদী করা ইত্যাদি।
(রদ্দুল মুহতার-১;-৯৭পৃ. কাবিরী-১;-৩৮৩পৃ .)
যেমন- খৎনা করা, আযান-ইকামাত দেয়া, বিবাহ শাদী করা ইত্যাদি।
(রদ্দুল মুহতার-১;-৯৭পৃ.
★ সুন্নাতে মুয়াক্কাদার বিধানঃ-
আমলের দিক দিয়ে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ওয়াজিবের মতই।
অর্থাৎ কেউ যদি ওজর ব্যতীত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বর্জন করে অথবা তরক করার অভ্যাস গড়ে নেয়, তাহলে সে ফাসেক ও গুনাহগার হবে এবং এজন্য কিয়ামত দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হবে।
তবে এই সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরক করার গুনাহ ওয়াজিব অপেক্ষা কম হবে এবং ওজরবশত কখনো ছুটে গেলে পুনরায় তা কাজা করতে হবে না।
(রদ্দুল মুহতার-১;-৭৭পৃ. )
অর্থাৎ কেউ যদি ওজর ব্যতীত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বর্জন করে অথবা তরক করার অভ্যাস গড়ে নেয়, তাহলে সে ফাসেক ও গুনাহগার হবে এবং এজন্য কিয়ামত দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হবে।
তবে এই সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরক করার গুনাহ ওয়াজিব অপেক্ষা কম হবে এবং ওজরবশত কখনো ছুটে গেলে পুনরায় তা কাজা করতে হবে না।
(রদ্দুল মুহতার-১;-৭৭পৃ.
★ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজসমূহঃ-
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মোট ১২ রাকআত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা রয়েছে।
যথা- ফজরে ২ রাকআত সুন্নাত, যোহরে (ফরয নামাজের পূর্বে ৪ রাকআত এবং পরে ২ রাকআত) ৬ রাকআত সুন্নাত, মাগরিবে ২ রাকআত সুন্নাত এবং ইশার ২ রাকআত সুন্নাত এই মোট ১২ রাকআত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
এ ছাড়া তারাবীহ’র নামাজও সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
যথা- ফজরে ২ রাকআত সুন্নাত, যোহরে (ফরয নামাজের পূর্বে ৪ রাকআত এবং পরে ২ রাকআত) ৬ রাকআত সুন্নাত, মাগরিবে ২ রাকআত সুন্নাত এবং ইশার ২ রাকআত সুন্নাত এই মোট ১২ রাকআত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
এ ছাড়া তারাবীহ’র নামাজও সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
উল্লেখ্য যে, এছাড়া অন্যান্য যত সুন্নাত আছে সবগুলো সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা তথা নফল বলে গণ্য হবে।
★ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ১২ রাকআত হওয়ার দলীলঃ-
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ دَخَلَ الْجَنَّةَ، أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ
অর্থঃ হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:- যে ব্যক্তি দিনে এবং রাতে ১২ রাকআত (সুন্নাত) নামাজ আদায় করবে, সে সোজা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(আর ১২ রাকআত সুন্নাত হচ্ছে)-
ক. যোহরে ফরয নামাজের পূর্বে ৪ রাকআত ও পরে ২ রাকআত।
খ. মাগরিবে ফরয নামাজের পরে ২ রাকআত।
গ. ইশার ফরয নামাজের পরে ২ রাকআত এবং
ঘ. ফজরে ফরয নামাজের পূর্বে ২ রাকআত।
(সুনানে নাসাঈ হাদীস নং-১৭৯৪, সহীহ তিরমিযী-১;-৯৪পৃ .)
(আর ১২ রাকআত সুন্নাত হচ্ছে)-
ক. যোহরে ফরয নামাজের পূর্বে ৪ রাকআত ও পরে ২ রাকআত।
খ. মাগরিবে ফরয নামাজের পরে ২ রাকআত।
গ. ইশার ফরয নামাজের পরে ২ রাকআত এবং
ঘ. ফজরে ফরয নামাজের পূর্বে ২ রাকআত।
(সুনানে নাসাঈ হাদীস নং-১৭৯৪, সহীহ তিরমিযী-১;-৯৪পৃ
এবারের বিষয়ঃ-
সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদার সংজ্ঞা, সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা’র বিধান এবং সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা তথা নফল পড়ার নিয়ম।
সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদার সংজ্ঞা, সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা’র বিধান এবং সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা তথা নফল পড়ার নিয়ম।
★ সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদার সংজ্ঞাঃ-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবাগণ যে সকল আমল ধারাবাহিকভাবে করেন নি; বরং ওজর ছাড়াও মাঝে মধ্যে তরক করেছেন, তাকে সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ বা সুন্নাতে যায়েদা বলে।
(রদ্দুল মুহতার-১;-৭৭পৃ. )
(রদ্দুল মুহতার-১;-৭৭পৃ.
★ সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা’র বিধানঃ-
সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ বা সুন্নাতে যায়েদা তরক করার দ্বারা কোন গুনাহ হবে না, তবে আমল করা উত্তম।
কেননা আমল করলে সওয়াব আছে।
(রদ্দুল মুহতার-১;-৭৭পৃ. )
কেননা আমল করলে সওয়াব আছে।
(রদ্দুল মুহতার-১;-৭৭পৃ.
সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা তথা নফল নামাজসমূহ
ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ব্যতীত অন্যান্য সকল নামাজকেই সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা তথা নফল নামাজ বলে।
যেমন- আসরের পূর্বে চার রাকআত সুন্নাত, সালাতুত তাহাজ্জুদ, সালাতুত তাসবীহ, সালাতুল হাজাত, সালাতুল ইস্তিখারা, সালাতুল ইস্তিস্কা, সালাতুল কুছূফ, সালাতুল খুছূফ, সালাতুশ শুকর, সালাতুত তাওবাহ, সালাতুল ফাতাহ, সালাতুল ইশরাক, সালাতুল আউয়াবীন, সালাতুত দোহা (চাশত), তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলুল মসজিদ ইত্যাদি।
ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ব্যতীত অন্যান্য সকল নামাজকেই সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা তথা নফল নামাজ বলে।
যেমন- আসরের পূর্বে চার রাকআত সুন্নাত, সালাতুত তাহাজ্জুদ, সালাতুত তাসবীহ, সালাতুল হাজাত, সালাতুল ইস্তিখারা, সালাতুল ইস্তিস্কা, সালাতুল কুছূফ, সালাতুল খুছূফ, সালাতুশ শুকর, সালাতুত তাওবাহ, সালাতুল ফাতাহ, সালাতুল ইশরাক, সালাতুল আউয়াবীন, সালাতুত দোহা (চাশত), তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলুল মসজিদ ইত্যাদি।
★ সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা তথা নফল পড়ার নিয়মঃ-
সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা ও নফল নামাজের প্রত্যেক রাকআতেই সূরা ফাতিহার সাথে অন্য আরেকটি সূরা মিলাতে হবে, (চাই নামাজ ২ রাকআত বিশিষ্ট হোক কিংবা ৪ রাকআত বিশিষ্ট) এবং প্রথম বৈঠকে (চার রাকআত বিশিষ্ট নামাজ হলেও) আত্তাহিয়্যাতুর পর দুরূদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছূরা পড়তে হবে।
অতঃপর শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতুর পর দুরূদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছূরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।
অতঃপর শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতুর পর দুরূদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছূরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।
>> সুন্নাত ও নফল নামাজ ঘরে পড়া উত্তমঃ-
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-: إِذَا قَضَى أَحَدُكُمُ الصَّلاَةَ فِى مَسْجِدِهِ فَلْيَجْعَلْ لِبَيْتِهِ نَصِيبًا مِنْ صَلاَتِهِ فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ فِى بَيْتِهِ مِنْ صَلاَتِهِ خَيْرًا
অর্থঃ হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- তোমাদের কেউ যখন মসজিদের (ফরয) নামাজ আদায় করে, তখন সে যেন তার ঘরের জন্য (সুন্নাত ও নফল) নামাজের একটি অংশ নির্দিষ্ট করে নেয়। কেননা তার নামাজের বরকতে আল্লাহ্ তা’আলা তার ঘরে বরকত দান করেন।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৮৫৮)
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৮৫৮)
নফল নামাজ বসে পড়ার অনুমতি আছে, তবে সাওয়াব অর্ধেকসালাতুত তাহাজ্জুদ, সালাতুত তাসবীহ, সালাতুল হাজাত, সালাতুল ইস্তিখারা, সালাতুশ শুকর, সালাতুত তাওবাহ, সালাতুল ফাতাহ, সালাতুল ইশরাক, ইত্যাদি নফল নামাজ বসে পড়ার অনুমতি আছে।
তবে বসে পড়ার দ্বারা সাওয়াব অর্ধেক হবে।
যেমন সহীহ মুসলিমে উল্লেখ আছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم قَالَ :-صَلاَةُ الرَّجُلِ قَاعِدًا نِصْفُ الصَّلاَةِ
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- কেউ বসে নামাজ পড়লে (দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া থেকে) অর্ধেক সাওয়াব হবে।
(সহীহ মুসলিম হাদীস নং-১৭৩৯)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم قَالَ :-صَلاَةُ الرَّجُلِ قَاعِدًا نِصْفُ الصَّلاَةِ
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- কেউ বসে নামাজ পড়লে (দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া থেকে) অর্ধেক সাওয়াব হবে।
(সহীহ মুসলিম হাদীস নং-১৭৩৯)
4 Comments
আলহামদুলিল্লা।
ReplyDeleteজাযাকাল্লাহ খায়ের
ReplyDeleteলামাযহাবী কর্তৃক ছড়ানো ভ্রান্তি দুর হয়েছে
আলহামদুলিল্লাহ
জাজাকাল্লাহ খাইরান
ReplyDeleteThe Most Successful Sites for Crypto, Casino & Poker - Goyang
ReplyDeleteGoyang Casino & Poker poormansguidetocasinogambling.com is one of the most worrione.com famous and well known crypto gambling sites, founded in 2012. They are popular goyangfc because of 바카라 사이트 their great 1등 사이트