কোরবানির গোশত বন্টন করার ব্যাপারে শরীয়ত_কী_বলে ?

কোরবানির গোশত বন্টন করার ব্যাপারে শরীয়ত_কী_বলে ? ------------------------------------------------ আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রত্যেক কোরবানি দাতার কুরবানীর গোশত হতে কোথাও অর্ধেক আবার কোথাও একতৃতীয়াংশ সমাজের জন্য রেখে দেওয়া হয়। এটা অনেকটা বাধ্যতামূলক নেওয়া হয়। এভাবে সকলের গোশত জমা করে তা থেকে কুরবানীদাতা সহ সমাজের সকলের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়। কোনো কোনো এলাকায় এটাকে লুটের ভাগ বলা হয়ে থাকে। # শরয়ী_সিদ্ধান্ত : শরীয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির গোশত বন্টন করার ব্যাপারে প্রত্যেক কুরবানীদাতা স্বাধীন। আরেকটা কথা, কারো কোনো জিনিস তার সন্তুষ্ট চিত্তে অনুমতি ব্যতীত বৈধ হয় না। আমাদের সমাজে প্রচলিত প্রথাটি শরীয়ত প্রদত্ত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের নামান্তর; অতএব তা বর্জনীয়। ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺮﺓﺍﻟﺮﻗﺎﺷﻲ ﻋﻦ ﻋﻤﻪ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺍﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তির মাল তার সন্তুষ্ট চিত্তে অনুমতি ব্যতীত বৈধ হবে না। (আসসুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী, ৬/১৮৬, হাদীস নম্বর: ১১৫৪৫) অবশ্য কোরবানিতে ওয়াসিয়্যত বা মান্নতের গোশত না থাকলে এভাবে বন্টনকৃত গোশত গ্রহণ করাতে কোন আপত্তি নেই। যদিও দান করে তা ফেরত নেওয়াটা অনুচিত। সে হিসেবে যারা কুরবানী দিয়ে গোশত জমা দিয়েছেন তারা তা থেকে নেওয়া উচিৎ নয়। ﺍﻥ ﻭﺟﺒﺖ ﺑﺎﻟﻨﺬﺭ ﻓﻠﻴﺲ ﻟﺼﺎﺣﺒﻬﺎ ﺃﻥ ﻳﺄﻛﻞ ﻣﻨﻬﺎ ﺷﻴﺄ ﻭﻻ ﺍﻥ ﻳﻄﻌﻢ ﻏﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﺍﻻﻏﻨﻴﺎﺀ ﺳﻮﺍﺀ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺎﺫﺭ ﻏﻨﻴﺎ ﺍﻭ ﻓﻘﻴﺮﺍ অর্থ: মান্নতের কুরবানী থেকে মান্নতকারী নিজে বা অন্য কোন ধনীব্যক্তিকে খাওয়াতে পারবে না। মান্নতকারী ধনী হোক বা দরিদ্র। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াহ্, ৫/৩০০, ফাতাওয়ায়ে শামিয়াহ্, ৬/৩২৭) কোরবানির গোশত বন্টন করার ব্যাপারে শরীয়ত সম্মত উত্তম পন্থা হলো, কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে একবার গরীব-মিসকিনদের জন্য, একবার আত্মীয়-স্বজনদের জন্য, আর একবার নিজের জন্য রেখে দেওয়া। তবে এটা সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। কুরবানীদাতা ইচ্ছা করলে সম্পূর্ণ গোশত নিজেও রেখে দিতে পারে যদিও তা উত্তম নয়। ﻭﺍﻷﻓﻀﻞ ﺃﻥ ﻳﺘﺼﺪﻕ ﺑﺎﻟﺜﻠﺚ .... ﻭﻟﻮ ﺣﺒﺲ ﺍﻟﻜﻞ ﻟﻨﻔﺴﻪ ﺟﺎﺯ .... অর্থ: উত্তম পন্থা হলো, একতৃতীয়াংশ (গরীব অসহায় মানুষের জন্য) সাদাকাহ্ করা। যদি সম্পূর্ণ গোশত নিজের জন্য রেখে দেয় তা-ও জায়েয হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামিয়াহ্, ৬/৩২৮, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াহ্, ৫/৩৭০) কেহ কেহ মনে করেন, তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত রাখা জায়েয নাই, এটা মারাত্মক ভুল ধারণা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বছর অধিক পরিমাণ দরিদ্রতার কারণে এক বছরের জন্য সাময়িক এই নির্দেশটি দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তা মানসুখ বা রোহিত হয়ে যায়। সহীহ বুখারী শরীফের হাদীসে এসেছে, ﻋَﻦْ ﺳَﻠَﻤَﺔَ ﺑْﻦِ ﺍﻷَﻛْﻮَﻉِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣَﻦْ ﺿَﺤّٰﻰ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻓَﻼَ ﻳُﺼْﺒِﺤَﻦَّ ﺑَﻌْﺪَ ﺛَﺎﻟِﺜَﺔٍ ﻭَﺑَﻘِﻲَ ﻓِﻲ ﺑَﻴْﺘِﻪ „ ﻣِﻨْﻪ “ ﺷَﻲْﺀٌ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟْﻌَﺎﻡُ ﺍﻟْﻤُﻘْﺒِﻞُ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻧَﻔْﻌَﻞُ ﻛَﻤَﺎ ﻓَﻌَﻠْﻨَﺎ ﻋَﺎﻡَ ﺍﻟْﻤَﺎﺿِﻲ ﻗَﺎﻝَ ﻛُﻠُﻮﺍ ﻭَﺃَﻃْﻌِﻤُﻮﺍ ﻭَﺍﺩَّﺧِﺮُﻭﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺫ ‘ ﻟِﻚَ ﺍﻟْﻌَﺎﻡَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﺎﻟﻨَّﺎﺱِ ﺟَﻬْﺪٌ ﻓَﺄَﺭَﺩْﺕُ ﺃَﻥْ ﺗُﻌِﻴﻨُﻮﺍ ﻓِﻴﻬَﺎ . হযরত সালামাহ ইবনে আকওয়া' রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে লোক কুরবানী করেছে, সে যেন তৃতীয় দিনে এমন অবস্থায় সকাল অতিবাহিত না করে যে, তার ঘরে কুরবানীর গোশ্ত কিছু অবশিষ্ট থেকে যায়। যখন পরবর্তী বছর আসলো , সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা কি তেমন করব, যেমন গত বছর করেছিলাম? তখন তিনি বললেনঃ তোমরা নিজেরা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখ, কারণ গত বছর মানুষের মধ্যে ছিল অনটন। তাই আমি চেয়েছিলাম, তোমরা তাতে সহযোগিতা কর। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৫৬৯)

Post a Comment

1 Comments

  1. MGM Resorts' new casino in Las Vegas will soon - Drmcd
    MGM Resorts' new casino in Las Vegas will 계룡 출장안마 soon It's called The Buffet at Caesars Palace, 화성 출장마사지 just minutes from 구리 출장안마 the 부천 출장안마 Las Vegas Strip. 원주 출장마사지

    ReplyDelete