সকাল সন্ধ্যা করণীয় দু'আ।

দু'আ নং-১ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-১ اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ، وَإِلَيْكَ النُّشُورُ আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্বনা- ওয়া বিকা আমছাইনা-, ওয়া বিকা নাহ্বয়া- ওয়া বিকা নামূতু, ওয়া ইলাইকান নুশূর। হে আল্লাহ! তোমার কৃপায় সকাল পেয়েছি, তোমার কৃপায় সন্ধ্যা পাবো। তোমার দয়ায় বেঁচে আছি, তোমার ইশারায় মারা যাবো। আর তোমার কাছেই হবে পুনরুত্থান। -সুনানে আবু দাউদ, ৫০৬৮. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-২ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-২ اللهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ، فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ আল্লা-হুম্মা মা-আসবাহ্বাবী মিন নি’মাতিন আও বিআহ্বাদিম মিন খলক্বিকা ফামিনকা ওয়াহ্বদাকা লা-শারীকালাকা, ফালাকাল হ্বামদু ওয়ালাকাশ শুকরু। ইয়া আল্লাহ! এই সকালে আমার মাঝে যত নেয়ামত বিদ্যমান, কিংবা তোমার যে কোনো মাখলুকের মাঝে, তা একমাত্র তোমান দান। তোমার কোনো শরীক নেই। সুতরাং যত হামদ-প্রশংসা সব তোমারই, তোমার জন্যই সকল শোকর ও কৃতজ্ঞতা। -সুনানে কুবরা নাসাঈ, ৯৭৫০. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-৩ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-৩ بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ বিছমিল্লা-হিল্লাযী লা-য়াযুররু মা‘আছমিহী শাইউন ফিল আরযি ওয়ালা- ফিছ ছামা-ই, ওয়া হুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম। দিনের শুরু ঐ আল্লাহর নামে, যার নাম সঙ্গে থাকলে আসমান-জমিনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞানী। ফায়দা: যে ব্যক্তি সকালে তিনবার এ দু‘আ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি সন্ধ্যা পর্যন্ত আকস্মিক বালা-মুসিবত থেকে নিরাপদ থাকবে। -সুনানে আবু দাউদ, ৫০৮৮. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-৪ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-৪ اللَّهُمَّ إنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نَافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছআলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আ, ওয়া রিযক্বান ত্বইয়িবা, ওয়া ‘আমালাম মুতা ক্বব্বালা। হে আল্লাহ! তোমার কাছে প্রার্থনা করি উপকারী বিদ্যা, পবিত্র জীবিকা এবং গ্রহণযোগ্য আমল। -সুনানে ইবনে মাজাহ, ৯২৫ হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-৫ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-৫ اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী ছাম‘ঈ, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাসারী, লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাক্বরি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি, লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা। হে আল্লাহ! আমার দেহে সুরক্ষা দাও, হে আল্লাহ! আমার কানে সুরক্ষা দাও, হে আল্লাহ! সুরক্ষা দাও আমার চোখে। তুমি ব্যতীত কেউ উপাস্য হবার যোগ্য নয়। হে আল্লাহ! কুফর এবং দারিদ্র্যের মুখাপেক্ষিতা থেকে তোমার কাছে পানাহ চাই। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে। তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। -সুনানে আবু দাউদ, ৫০৯০. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-৬ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-৬ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ ছুবহ্বানাল্লাহি ওয়াবিহ্বামদিহী, ‘আদাদা খলক্বিহী ওয়া রিযা নাফছিহী, ওয়াঝিনাতা ‘আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী। আমি আল্লাহ তাআলার সপ্রসংশ প্রবিত্রতা বর্ণনা করছি যা তাঁর সৃষ্টি-সংখ্যার সমপরিমাণ, তিনি সন্তুষ্ট হন এই পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন-সমান, তাঁর কালামের কালি-সমাণ। -সহীহ মুসলিম, ২৭২৬ দু'আ নং-৭ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-৭ أَصْبَحْنَا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ، وَعَلَى كَلِمَةِ الْإِخْلَاصِ، وَعَلَى دِينِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى مِلَّةِ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا مُسْلِمًا، وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ আসবাহ্বনা- ‘আলা- ফিত্বরতিল ইছলাম, ওয়া ‘আলা- কালিমাতিল ইখলাস, ওয়া ‘আলা- দীনি নাবিয়্যিনা- মুহ্বাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়া ‘আলা- মিল্লাতি আবীনা- ইবরাহীমা হ্বানীফাম মুছলিমা-, ওয়ামা- কা-না মিনাল মুশরিকীন। আমাদের সকাল হলো স্বভাবধর্ম ইসলামের উপর, কালিমায়ে তাইয়েবার উপর, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনীত দ্বীনের উপর এবং আমাদের পিতা ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর মিল্লাত ও জাতীয়তার উপর, যিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন, মুশরিক ছিলেন না। মুসনাদে আহমদ, ১৫৩৬০. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-৮ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-৮ اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী, লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা, খলাক্বতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা- ‘আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্ব’তু, আ‘উযুবিকা মিন শাররি মা- সনা’তু, আবূউ লাকা বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়া, ওয়া আবূউ লাকা বিযামবী, ফাগফিরলী, ফা ইন্নাহূ লা-য়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা। হে আল্লাহ! তুমি আমার মালিক, তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো, আমি তোমার গোলাম। তোমাকে দেয়া ওয়াদা-অঙ্গীকার পূরণে আমি সাধ্যমতো সচেষ্ট। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট পানাহ চাই। আমার উপর তোমারকৃত সমুদয় অনুগ্রহ নিয়ে আমি উপস্থিত, আমার গুনাহগুলো নিয়েও আমি হাজির। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও। তুমি ছাড়া কেউ তো আর ক্ষমা করতে পারে না। ফায়দা: যে ব্যক্তি সকালে এই দু‘আর মাধ্যমে এস্তেগফার করবে, সন্ধ্যার আগে মারা গেলে সে ব্যক্তি বেহেশতীবলে গণ্য হবে। -সহীহ বোখারী, ৬৩০৬ দু'আ নং-৯ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-৯ اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوءًا أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ আল্লা-হুম্মা ফাত্বিরাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরয্, ‘আ-লিমাল গইবি ওয়াশ শাহা-দাহ, লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা রব্বা কুল্লি শাইইন ওয়া মালীকাহ, আ‘উযুবিকা মিন শাররি নাফছী ওয়া মিন শাররিশ শায়া-তীনি ওয়া শিরকিহ, ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা- নাফছী ছূআন আও আজুররাহূ ইলা- মুছলিম। হে আল্লাহ! আসমান-জমিনের হে আদিস্রষ্টা, দৃশ্য-অদৃশ্যের হে মহা জ্ঞাতা, তুমি ছাড়া কেউ উপাস্য নয়। বস্তুনিচয়ের হে মালিক ও প্রতিপালক! আমি আমার কুপ্রবৃত্তির অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। পানাহ চাই শয়তানের অনিষ্ট ও শিরক থেকে, পাপের মাধ্যমে নিজের উপর কিংবা কোনো মুসলিমের উপর অবিচার করা থেকে। -সুনানে তিরমিযি, ৩৫২৯. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-১০ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-১০ اللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلَائِكَتَكَ، وَجَمِيعَ خَلْقِكَ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসবাহ্বতু উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হ্বামালাতা ‘আরশিকা ওয়া মালা-ইকাতাকা, ওয়া জামী‘আ খলকিকা, আন্নাকা আনতাল্লা-হ, লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা ওয়া আন্না মুহ্বাম্মাদান ‘আবদুকা ওয়া রছূলুকা। হে আল্লাহ! আমার সকাল হলো তোমাকে সাক্ষী রেখে, তোমার আরশ বহনকারীদের সাক্ষী রেখে, তোমার সমস্ত ফেরেশতাকে সাক্ষী রেখে এবং তোমার সমগ্র সৃষ্টিকে সাক্ষী রেখে, এই ব্যাপারে যে, তুমিই আল্লাহ। তুমি ছাড়া কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। আর মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার বান্দা ও রাসূল। ফায়দা: যে ব্যক্তি সকালে কিংবা সন্ধ্যায় চারবার এ দু‘আ পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন। -সুনানে আবু দাউদ, ৫০৬৯. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১১ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-১১ أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ المُلْكُ لله وَالحَمْدُ للهِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هذا اليَومِ وَخيرَ ما بعدَه، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذِا اليَوم وَشَرِّ مَا بَعْدَه، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الكَسَلِ وَسُوءِ الكِبَرِ، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ، وَعَذَابٍ فِي القَبْرِ আসবাহ্বনা- ওয়া আসবাহ্বাল মুলকু ল্লিা-হ, ওয়াল হ্বামদু লিল্লা-হ, লা- ইলা-ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্বদাহূ লা-শারীকা লাহূ, লাহূল মুলকু ওয়া লাহুল হ্বামদু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইইন ক্বদীর। রব্বি আছআলুকা খইরামা-ফী হা-যাল য়াওমি ওয়া খইরা মা-বা’দাহূ, ওয়া আ‘উযুবিকা মিন শাররি হা-যাল য়াওমি ওয়া শাররি মা-বা’দাহূ, রব্বি আ‘উযুবিকা মিনাল কাছালি ওয়া ছূইল কিবার, রব্বি আ‘উযুবিকা মিন ‘আযাবিন ফিন্নারি ওয়া ‘আযাবিল ক্ববর্। আমরা প্রভাতে উপনীত হয়েছি এবং সমগ্র জগৎ আল্লাহর অধীনে প্রভাত লাভ করেছে। সুতরাং প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মা’বুদ নেই। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। সকল রাজত্ব তাঁর, প্রশংসাও তাঁর। তিনি সবকিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান। হে আমার রব! আমি তোমার কাছে এই দিবস ও তার পরের যাবতীয় কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং তোমার কাছে এই রজনি ও তার পরের সমুদয় অকল্যাণ থেকে পানাহ চাচ্ছি। হে আমার প্রতিপালক! তোমার কাছে অলসতা ও বার্ধক্যের চরম কষ্ট থেকে আশ্রয় চাই। হে আমার পালনকর্তা! তোমার কাছে জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে পানাহ চাই। -সহীহ মুসলিম, ২৭২৩ দু'আ নং-১২ ভোর সকালে করণীয় দু‘আ ও যিকির-১২ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، اللَّهُمَّ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي ، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي ، وَآمِنْ رَوْعَاتِي ، وَاحْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ ، وَمِنْ خَلْفِي ، وَعَنْ يَمِينِي ، وَعَنْ شِمَالِي ، وَمِنْ فَوْقِي ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي. আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফিদদুনয়া- ওয়াল আ-খিরাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়া দুনয়া-য়া ওয়া আহলী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাছ তুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রও‘আ-তী, ওয়াহ্বফাযনী মিম বাইনি য়াদাইয়া ওয়া মিন খলফী, ওয়া ‘আইঁ য়ামীনী ওয়া ‘আন শিমা-লী ওয়া মিন ফাওক্বী, ওয়া আ‘উযুবিকা আন উগতা-লা মিন তাহ্বতী। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও সুরক্ষা প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! ক্ষমা ও সুরক্ষা প্রার্থনা করি ঈমান-আমলের ক্ষেত্রে ত্রুটি করা থেকে, ইহলোকের কাজে ভুলচুক করা থেকে, সন্তান-সন্তুতি ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে না-হক কাজ করা থেকে। হে আল্লাহ! তুমি আমার সকল বিচ্যুতি ঢেকে দাও, সকল শংকা নিরাপত্তায় বদলে দাও। আমাকে আমার সামনের, পিছনের, ডানের বাঁয়ের এবং উপরের দিকের সকল বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত করো। আশ্রয় দাও নিচের দিকের অতর্কিত বিপদ থেকে। -সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৮৭১. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-১৩ মাগরিবের আযানের সময় পাঠ্য দু‘আ اللَّهُمَّ هَذَا إِقْبَالُ لَيْلِكَ، وَإِدْبَارُ نَهَارِكَ، وَأَصْوَاتُ دُعَاتِكَ فَاغْفِرْ لِي আল্লা-হুম্মা হা-যা- ইক্ববা-লু লাইলিকা ওয়া ইদবা-রু নাহা-রিকা, ওয়া আসওয়া-তু দু‘আ-তিকা ফাগফিরলী। হে আল্লাহ! তোমার দেয়া রাতের আগমন, দিবসের প্রস্থান এবং মোয়াজ্জিনের আহ্বানের এই শুভ সন্ধিক্ষণ, এর উসিলায় তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। মুস্তাদরাকে হাকেম, ৭১৪. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-১৪ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-১ اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ، وَإِلَيْكَ المَصِيرُ আল্লা-হুম্মা বিকা আমছাইনা-, ওয়া বিকা আসবাহ্বনা- ওয়া বিকা নাহ্বয়া-, ওয়া বিকা নামূতু, ওয়া ইলাইকান নুশূর। হে আল্লাহ! তোমার কৃপায় সন্ধ্যা পেয়েছি, তোমার কৃপায় সকাল পাবো। তোমার দয়ায় বেঁচে আছি, তোমার ইশারায় মারা যাবো। আর তোমার কাছেই হবে পুনরুত্থান। -সুনানে আবু দাউদ, ৫০৬৮. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-১৫ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-২ اللهُمَّ مَا أَمْسَى بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ، فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ আল্লা-হুম্মা মা- আমছা-বী মিন নি’মাতিন আও বিআহ্বাদিম মিন খলক্বিকা ফামিনকা ওয়াহ্বদাকা লা-শারীকালাক, ফালাকাল হ্বামদু ওয়ালাকাশ শুকর্। ইয়া আল্লাহ! এই সন্ধ্যায় আমার মাঝে যত নেয়ামত বিদ্যমান, কিংবা তোমার যে কোনো মাখলুকের মাঝে, তা একমাত্র তোমান দান। তোমার কোনো শরীক নেই। সুতরাং যত হামদ-প্রশংসা সব তোমারই, তোমার জন্যই সকল শোকর ও কৃতজ্ঞতা। -সুনানে কুবরা নাসাঈ, ৯৭৫০. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১৬ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-৩ حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ হ্বাছবিয়াল্লা-হু লা-ইলা-হা ইল্লা-হূ, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম। ঐ আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট, যিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই, যিনি মহান আরশের অধিপতি। ফায়দা: যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় সাতবার এ দু‘আ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির দুনিয়া-আখেরাতের সকল পেরেশানি বিদূরণে যথেষ্ট হয়ে যাবেন। আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ইবনুস সুন্নি, ৭১. হাদীসের সূত্র: আমলযোগ্য যঈফ দু'আ নং-১৭ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-৪ بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ বিছমিল্লা-হিল্লাযী লা-য়াযুররু মা‘আছমিহী শাইউন ফিল আরযি ওয়ালা- ফিছছামা-ই, ওয়া হুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম। দিনের শেষ ঐ আল্লাহর নামে, যার নাম সঙ্গে থাকলে আসমান-জমিনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞানী। ফায়দা: যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার এ দু‘আ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি সকাল পর্যন্ত সকল বালা-মুসিবত থেকে নিরাপদ থাকবে। -সুনানে আবু দাউদ, ৫০৮৮. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১৮ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-৫ رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا রযীতু বিল্লা-হি রব্বাওঁ ওয়া বিল ইছলা-মি দীনা, ওয়াবি মুহ্বাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামা নাবিয়্যা-। আমি খুশী আল্লাহ তাআলাকে রব হিসাবে পেয়ে, আমি আনন্দিত ইসলামকে ধর্ম হিসাবে পেয়ে, আমি পরম পরিতুষ্ট মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী হিসাবে পেয়ে। ফায়দা: যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার এ দু‘আ পাঠ করবে, কেয়ামতের দিন অবশ্যই আল্লাহ পাক তাকে খুশী করবেন। মুসনাদে আহমদ, ১৮৯৬৭. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-১৯ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-৬ أَمْسَيْنَا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ، وَعَلَى كَلِمَةِ الْإِخْلَاصِ، وَعَلَى دِينِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى مِلَّةِ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا مُسْلِمًا، وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ আমছাইনা- ‘আলা- ফিত্বরতিল ইছলাম, ওয়া ‘আলা- কালিমাতিল ইখলাস, ওয়া ‘আলা- দীনি নাবিয়্যিনা- মুহ্বাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়া ‘আলা- মিল্লাতি আবীনা- ইবরাহীমা হ্বানীফাম মুছলিমা-, ওয়ামা- কা-না মিনাল মুশরিকীন। আমাদের সন্ধ্যা হলো স্বভাবধর্ম ইসলামের উপর, কালিমায়ে তাইয়েবার উপর, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনীত দ্বীনের উপর এবং আমাদের পিতা ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর মিল্লাতের উপর, যিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন, মুশরিক ছিলেন না। মুসনাদে আহমদ, ১৫৩৬০. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-২০ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-৭ اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী, লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা, খলাক্বতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা- ‘আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্ব’তু, আ‘উযুবিকা মিন শাররি মা- সনা’তু, আবূউ লাকা বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়া, ওয়া আবূউ লাকা বিযামবী, ফাগফিরলী, ফা ইন্নাহূ লা-য়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা। হে আল্লাহ! তুমি আমার মালিক, তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো, আমি তোমার গোলাম। তোমাকে দেয়া ওয়াদা-অঙ্গীকার পূরণে আমি যথাসাধ্য সচেষ্ট। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট পানাহ চাই। আমার উপর তোমার কৃত সমুদয় অনুগ্রহ নিয়ে আমি উপস্থিত, আমার গুনাহগুলো নিয়েও আমি হাজির। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও। তুমি ছাড়া তো কেউ ক্ষমা করতে পারে না। ফায়দা: যে ব্যক্তি সকালে এই দু‘আর মাধ্যমে এস্তেগফার করবে, সন্ধ্যার আগে মারা গেলে সে ব্যক্তি বেহেশতী বলে গণ্য হবে। -সহীহ বোখারী, ৬৩০৬ দু'আ নং-২১ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-৮ أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ .لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوءِ الْكِبَرِ، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي الْقَبْرِ আমছাইনা- ওয়া আমছাল মুলকু লিল্লা-হ, ওয়াল হ্বামদু লিল্লা-হ, লা- ইলা-ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্বদাহূ লা-শারীকা লাহূ, লাহূল মুলকু ওয়া লাহুল হ্বামদু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইইন ক্বদীর। রব্বি আছআলুকা খইরা মা-ফী হা-যাল লাইলি ওয়া খইরা মা- বা’দাহূ, ওয়াআ‘উযুবিকা মিন শাররি হা-যাল লাইলি ওয়া শাররি মা বা’দাহূ, রব্বি আ‘উযুবিকা মিনাল কাছালি ওয়া ছূইল কিবার, রব্বি আ‘উযুবিকা মিন ‘আযাবিন ফিন্না-রি ওয়া ‘আযা-বিল ক্ববর্। আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি এবং সমগ্র জগৎ আল্লাহর অধীনে সন্ধ্যা লাভ করেছে। সুতরাং প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মা’বুদ নেই। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। সকল রাজত্ব তাঁর, প্রশংসাও তাঁর। তিনি সবকিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান। হে আমার রব! আমি তোমার কাছে এই দিবস ও তার পরের যাবতীয় কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং তোমার কাছে এই রজনি ও তার পরের সমুদয় অকল্যাণ থেকে পানাহ চাচ্ছি। হে আমার প্রতিপালক! তোমার কাছে অলসতা ও বার্ধক্যের চরম কষ্ট থেকে আশ্রয় চাই। হে আমার পালনকর্তা! তোমার কাছে জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে পানাহ চাই। -সহীহ মুসলিম, ২৭২৩ দু'আ নং-২২ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-৯ أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذَا الْيَوْمِ فَتْحَهُ وَنَصْرَهُ وَنُورَهُ وَبَرَكَتَهُ وَهُدَاهُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ আমছাইনা- ওয়া আমছাল মুলকু লিল্লা-হি রব্বিল ‘আ-লামীন। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছআলুকা খইরা হা-যাল য়াওমি ফাতহ্বাহূ ওয়া নাসরাহূ, ওয়া নূরাহূ ওয়া বারাকাতাহূ ওয়া হুদা-হু, ওয়া আ‘উযুবিকা মিন শাররি মা-ফীহি ওয়া শাররি মা-বা’দাহূ। আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি এবং সমগ্র অঞ্চল ঐ আল্লাহর অধীনে সন্ধ্যা লাভ করেছে, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আগামী দিনের জয় প্রার্থনা করি, শত্রুর বিরুদ্ধে প্রার্থনা করি সাহায্য, যাচনা করি আগামী দিনের নূর বরকত ও হেদায়েত। আর এই দিন ও তার পরবর্তী দিনের অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। -সুনানে আবু দাউদ, ৫০৮৪. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-২৩ সন্ধ্যায় করণীয় দু‘আ ও যিকির-১০ اللَّهُمَّ إنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، اللَّهُمَّ إنِّي أَسْأَلُكَ العَفْوَ وَالعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي، وَآمِنْ رَوْعَاتِي، اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنَ يَدَيَّ، وَمِنْ خَلْفِي، وَعَنْ يَمِينِي، وَعَنْ شِمَالِي، وَمِنْ فَوْقِي، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফিদদুনয়া ওয়াল আ-খিরাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়া দুনয়া-য়া ওয়া আহলী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাছতুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রও‘আ-তী, ওয়াহ্বফাযনী মিম বাইনি য়াদাইয়া ওয়া মিন খলফী, ওয়া ‘আন য়ামীনী ওয়া ‘আন শিমালী ওয়া মিন ফাওক্বী, ওয়া আ‘উযুবিকা আন উগতা-লা মিন তাহ্বতী। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও সুরক্ষা প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! ক্ষমা ও সুরক্ষা প্রার্থনা করি ঈমান-আমলের ক্ষেত্রে ত্রুটি করা থেকে, ইহলোকের কাজে ভুলচুক করা থেকে, সন্তান-সন্তুতি ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে না-হক কাজ করা থেকে। হে আল্লাহ! তুমি আমার সকল বিচ্যুতি ঢেকে দাও, সকল শংকা নিরাপত্তায় বদলে দাও। আমাকে আমার সামনের, পিছনের, ডানের বাঁয়ের এবং উপরের দিকের সকল বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত করো। আশ্রয় দাও নিচের দিকের অতর্কিত বিপদ থেকে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস নং২৯৮৮৯. হাদীসের সূত্র: সহীহ আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তৈফিক দান করুন। আমিন।

Post a Comment

1 Comments