দু‘আ নং-১
দুঃখ-দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ দু‘আ পড়তে থাকবে
اللَّهُمَّ إِنِّى عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ نَاصِيَتِى بِيَدِكَ مَاضٍ فِىَّ حُكْمُكَ عَدْلٌ فِىَّ قَضَاؤُكَ أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِى كِتَابِكَ أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِكَ أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِى عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِى وَنُورَ صَدْرِى وَجَلاَءَ حُزْنِى وَذَهَابَ هَمِّى
আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আবদুকা, ওয়াবনু ‘আবদিকা ওয়াবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মা-যিন ফিয়্যা হ্বুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা ক্বযা-উকা, আছআলুকা বিকুল্লিছমিন হুয়ালাকা, ছাম্মাইতা বিহী নাফছাকা, আও আনঝালতাহূ ফী কিতা-বিকা, আও ‘আল্লামতাহূ আহ্বাদাম মিন খলক্বিকা, আও ইছতাঅ ছারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গইবি ‘ইনদাকা, আন তাজ‘আলাল কোরআ-না রবী‘আ ক্বলবী ওয়া নূরা সদরী, ওয়া জালা-আ হাম্মী ওয়া যাহা-বা হ্বুঝনী।
হে আল্লাহ! আমি তোমার গোলাম, তোমার গোলামের বেটা গোলাম, তোমার বান্দীর বাচ্চা গোলাম। আমার চুল (নিয়ন্ত্রণ) তোমার মুঠোয়, আমার মাঝে চলে তোমার হুকুম, আমার ক্ষেত্রে তোমার সিদ্ধান্ত ইনসাফপূর্ণ। তোমার সেই সমস্ত নামের উসিলায় প্রার্থনা, যে নামসমূহ তুমি নিজের জন্য রেখেছো, বা তোমার কিতাবে নাযিল করেছো, অথবা তোমার কোনো সৃষ্টিকে শিখিয়েছো, কিংবা নিজের কাছে গায়েবি জ্ঞানের ভান্ডারে তুলে রেখেছো কোরআন মাজীদকে আমার আত্মার বসন্ত বানিয়ে, হৃদয়ের আলো বানিয়ে দাও। আমার দুঃখ নিবারক এবং দুশ্চিন্তা বিদূরক বানিয়ে দাও।
মুসনাদে আহমদ, ৩৭১২. হাদীসের সূত্র: হাসান
দু‘আ নং-২
ঋণ মুক্ত হওয়ার জন্য পড়বে-১
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ، وَقَهْرِ الرِّجَالِ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হ্বাঝানি, ওয়া আ‘উযুবিকা মিনাল ‘আজঝি ওয়াল কাছালি, আ‘উযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, আ‘উযুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া ক্বহরির রিজাল।
হে আল্লাহ! তোমার কাছে দুঃখ-দুশ্চিন্তা থেকে পানাহ চাই। অক্ষমতা এবং অলসতা থেকে মুক্তি চাই। ভীরুতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় চাই। ঋণগ্রস্থতা ও লোকজনের বলপ্রয়োগের শিকার হওয়া থেকে রেহাই চাই।
-সুনানে আবু দাউদ, ১৫৫৫. হাদীসের সূত্র: হাসান
দু‘আ নং -৩
ঋণ মুক্ত হওয়ার জন্য পড়বে-২
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
আল্লা-হুম্মাক ফিনী বিহ্বালা-লিকা ‘আন হ্বারা-মিকা, ওয়া আগনিনী বিফাযলিকা ‘আম মান ছিওয়াক।
হে আল্লাহ! আমাকে যথেষ্ট পরিমাণ রিযকে হালাল দিয়ে হারাম থেকে বিমুখ করে দাও। অন্যদের থেকে অমুখাপেক্ষী করে নিজ অনুগ্রহে তোমার প্রতি মুখাপেক্ষী বানিয়ে নাও।
ফায়দা: যে ব্যক্তি এ দু‘আ পাঠ করতে থাকবে, তার ঋণ পর্বত-পরিমাণ হলেও আল্লাহ পাক তা শোধের ব্যবস্থা করে দিবেন।
-সুনানে তিরমিযি, ৩৫৬৩. হাদীসের সূত্র: হাসান
দু‘আ নং -৪
ঋণ মুক্ত হওয়ার জন্য পড়বে-৩
اللهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ، وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ، وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ، وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكِ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ، وتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ، وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ، وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ، وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ رَحْمَنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَرَحِيمَهُمَا، تُعْطِي مَنْ تَشَاءُ مِنْهُمَا، وتَمْنَعُ مَنْ تَشَاءُ، ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِيني بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
আল্লা-হুম্মা মা-লিকাল মুলকি তুঅতিল মুলকা মান তাশা-উ, ওয়া তানঝি‘উল মুলকা মিম মান তাশা-উ, ওয়া তু‘ইঝ্যু মান তাশা-উ, ওয়া তুযিল্লু মান তাশা-উ, বিয়াদিকাল খইর, ইন্নাকা ‘আলা কুল্লি শাইইন ক্বদীর। তূলিজুল লাইলা ফিন নাহা-রি, ওয়া তূলিজুন নাহা-রা ফিল লাইল, ওয়া তুখরিজুল হ্বাইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়া তুখরিজুল মাইয়িতা মিনাল হ্বাই, ওয়া তারঝুকু মান তাশা-উ বিগইরি হ্বিছাব। রহমা-নাদ দুনয়া- ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া রহ্বীমাহুমা-, তু’ত্বী মান তাশা-উ মিনহুমা- ওয়া তামনা‘উ মান তাশা-অ, ইরহ্বামনী রহ্বমাতান তুগনিনী বিহা- ‘আন রহ্বমাতি মান ছিওয়া-ক্।
হে আল্লাহ! হে রাজত্বের মহা মালিক! তুমি যাকে চাও রাজত্ব দাও, যার কাছ থেকে চাও রাজ্য কেড়ে নাও। যাকে চাও সম্মানী করো, যাকে ইচ্ছা অপমানিত করো। তোমার হাতেই সকল মঙ্গল। তুমি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। তুমি রাতকে দিনে প্রবিষ্ট করো আর দিনকে প্রবিষ্ট করো রাতে। যাকে চাও অফুরন্ত রিযিক দাও। দুনিয়া-আখেরাতের হে পরম করুণাময়, দোজাহানের হে চির মেহেরবান! উভয় জগৎ থেকে যাকে ইচ্ছা দান করো যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করো। তুমি নিজ অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সকল মাখলুকের করুণা থেকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।
-মুজামে ছগীর তাবরানী, ১৮২১. হাদীসের সূত্র: হাসান
দু‘আ নং -৫
ঋণ মুক্ত হওয়ার জন্য পড়বে-৪
اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ، وَالْكَسَلِ، وَالْجُبْنِ، وَالْبُخْلِ، وَالْهَرَمِ، وَعَذَابِ، الْقَبْرِ. اللهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا، وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا، اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَا يَنْفَعُ، وَمِنْ قَلْبٍ لَا يَخْشَعُ، وَمِنْ نَفْسٍ لَا تَشْبَعُ، وَمِنْ دَعْوَةٍ لَا يُسْتَجَابُ لَهَا
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল ‘আজঝি ওয়াল কাছালি, ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়াল হারামি ওয়া ‘আযা-বিল ক্ববরি। আল্লা-হুম্মা আ-তি নাফছী তাক্বওয়া-হা-, ওয়া ঝাক্কিহা- আনতা খইরু মান ঝাক্কা-হা-, আনতা ওয়ালিয়্যুহা- ওয়া মাওলা-হা-, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘ইলমিন লা-য়ানফা’, ওয়া মিন ক্বলবিন লা তাখশা’, ওয়া মিন নাফছিন লা-তাশবা’, ওয়া মিন দা’ওয়াতিন লা-ইউছতাজাবু লাহা-।
হে আল্লাহ! তোমার কাছে পানাহ চাই অক্ষম হয়ে পড়া থেকে, আলস্য, ভীরুতা ও কার্পণ্য থেকে, বার্ধক্যের জরা এবং কবরের আযাব থেকে। হে আল্লাহ! আমার অন্তরে দাও তোমার ভয়, আত্মাকে করো পরিশুদ্ধ, তুমি সর্বোত্তম শুদ্ধকারী। তুমি হৃদয়ের মালিক ও পরিচর্যাকারী। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই এমন ইলম থেকে, যা উপকারে আসে না। এমন কলব থেকে, যা গুনাহ করতে ভয় পায় না। এমন আত্ম চাহিদা থেকে, যা কখনো তৃপ্ত হয় না।
-সহীহ মুসলিম, ২৭২২
দু‘আ নং -৬
কোনো ক্ষতি হয়ে গেলে এই দু‘আ পড়বে
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا.
ইন্না-লিল্লা-হি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রা-জি‘ঊন। আল্লা-হুম্মাঅ জুরনী ফী মুসীবাতী ওয়া আখলিফলী খইরাম মিনহা-।
আমরা আল্লাহর অধীন আর তাঁর কাছেই ফিরে যাবো। হে আল্লাহ! আমাকে এই বিপদের বিনিময়ে পূণ্য দাও, এর স্থলে আরও উত্তম যা তা আমাকে দান করো।
-সহীহ মুসলিম, ৯১৮
দু‘আ নং -৭
বালা-মুসিবত-কালে এই যিকির করবে-১
لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ العَظِيمُ الحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَرَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ
লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ‘আযীমুল হ্বালীম, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ার আরযি ওয়া রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম।
আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, যিনি অতি মহান, অত্যন্ত সহনশীল। আল্লাহ ছাড়া কেউ উপাস্য নয়, যিনি আসমান-জমিনের মালিক, মহান আরশের অধিপতি।
-সহীহ বোখারী, ৬৩৪৫
দু‘আ নং -৮
বালা-মুসিবত-কালে এই যিকির করবে-২
اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلَا تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ
আল্লা-হুম্মা রহ্বমাতাকা আরজূ, ফালা তাকিলনী ইলা- নাফছী ত্বরফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ব লী শাঅনী কুল্লাহূ, লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা।
হে আল্লাহ! আমি তোমার রহমতের আশা করি। সুতরাং এক মুহূর্তের জন্যও আমাকে আমার যিম্মায় ছেড়ে দিও না (বরং তোমার হেফাজতে রাখো)। আমার সকল সমস্যার সমাধান তুমি করে দাও। তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।
-সুনানে আবু দাউদ, ৫০৯০. হাদীসের সূত্র: হাসান
দু‘আ নং -৯
বালা-মুসিবত-কালে এই যিকির করবে-৩
أَللَّهُ أَللَّهُ رَبِّي لَا أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
আল্লা-হু, আল্লা-হু রব্বী লা- উশরিকু বিহী শাইআ-।
আল্লাহু আল্লাহ! যিনি আমার সবকিছুর মালিক। আমি কোনো কিছুতে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।
-সুনানে আবু দাউদ, ১৫২৫. হাদীসের সূত্র: সহীহ
দু‘আ নং -১০
বালা-মুসিবত-কালে এই যিকির করবে-৪
اللهُمَّ أَصْلِحْ لِي دِينِي الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي، وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتِي فِيهَا مَعَاشِي، وَأَصْلِحْ لِي آخِرَتِي الَّتِي فِيهَا مَعَادِي، وَاجْعَلِ الْحَيَاةَ زِيَادَةً لِي فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ الْمَوْتَ رَاحَةً لِي مِنْ كُلِّ شَرٍّ
আল্লা-হুম্মা আসলিহ্ব লী দীনী, আল্লাযী হুয়া ‘ইসমাতু আমরী, ওয়া আসলিহ্ব লী দুনয়া-য়া, আল্লাতী ফীহা মা‘আশী, ওয়া আসলিহ্ব লী আ-খিরাতী, আল্লাতী ফীহা মা‘আ-দী, ওয়াজ ‘আলিল হ্বায়াতা ঝিয়া-দাতানলী ফী কুল্লি খইর, ওয়াজ ‘আলিল মাউতা রাহ্বাতান লী মিন কুল্লি শার।
হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার ধর্মকে পরিশোধিত করে দাও, যা আমার সবকিছুর ধারক ও রক্ষক। আমার ইহজগতকে আমার উপযোগী করে দাও, যা আমার জীবিকার ক্ষেত্র ও বাহক। আর আমার কবর ও আখেরাতকে গুছিয়ে দাও। যেখানে আমার চির প্রত্যাবর্তন এবং আমার জীবনকে সর্বরকম কল্যাণের আধার বানিয়ে দাও। আর মৃত্যুকে বানিয়ে দাও সব রকম কষ্টমুক্তির পরম উসিলা।
-সহীহ মুসলিম, ২৭২০
দু‘আ নং -১১
শত্রু বা জালিমের মুখোমুখি হলে পড়বে-১
اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي وَنَصِيرِي، بِكَ أَحُولُ، وَبِكَ أَصُولُ، وَبِكَ أُقَاتِلُ
আল্লা-হুম্মা আনতা ‘আযুদী ওয়া নাসরী, বিকা আহ্বূলু ওয়া বিকা আসূলু ওয়া বিকা উক্বা-তিলু।
হে আল্লাহ! তুমিই আমার সাহায্যকারী তুমিই আমার নুসরতকারী। তোমার সাহায্যেই আমি শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করি, তোমার শক্তিতেই আমি হামলা করি, তোমার তাওফিকেই আমি লড়াই করি।
-সুনানে আবু দাউদ, ২৬৩২. হাদীসের সূত্র: সহীহ
দু‘আ নং ১২
শত্রু বা জালিমের মুখোমুখি হলে পড়বে-২
اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ
আল্লা-হুম্মা ইন্না- নাজ‘আলুকা ফী নুহ্বূরিহিম ওয়া না‘ঊযুবিকা মিন শুরূরিহিম।
হে আল্লাহ! শত্রুর মোকাবেলায় আমরা তোমাকে রাখছি (আমাদের পক্ষে), আর তাদের অনিষ্ট হতে আমরা তোমার কাছেই আশ্রয় নিচ্ছি।
-সুনানে আবু দাউদ, ১৫৩৭. হাদীসের সূত্র: সহীহ
দু‘আ নং -১৩
শত্রু বা জালিমের মুখোমুখি হলে পড়বে-৩
اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الكِتَابِ، سَرِيعَ الحِسَابِ، اللَّهُمَّ اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ
আল্লা-হুম্মা মুনঝিলাল কিতা-ব, ছারী‘আল হ্বিছা-ব, আল্লা-হুম্মাহ ঝিমিল আহ্বঝা-ব, আল্লা-হুম্মাহ ঝিমহুম ওয়া ঝালঝিলহুম।
হে আল্লাহ! হে কিতাব অবতীর্ণবারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে আল্লাহ! শত্রুবাহিনীকে পরাস্ত করো। হে আল্লাহ! এদের তুমি পরাভূত করো। এদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দাও।
-সহীহ বোখারী, ২৯৩৩
দু‘আ নং ১৪
শত্রু বা জালিমের মুখোমুখি হলে পড়বে-৩
اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الكِتَابِ، سَرِيعَ الحِسَابِ، اللَّهُمَّ اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ
আল্লা-হুম্মা মুনঝিলাল কিতা-ব, ছারী‘আল হ্বিছা-ব, আল্লা-হুম্মাহ ঝিমিল আহ্বঝা-ব, আল্লা-হুম্মাহ ঝিমহুম ওয়া ঝালঝিলহুম।
হে আল্লাহ! হে কিতাব অবতীর্ণবারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে আল্লাহ! শত্রুবাহিনীকে পরাস্ত করো। হে আল্লাহ! এদের তুমি পরাভূত করো। এদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দাও।
-সহীহ বোখারী, ২৯৩৩
দু‘আ নং ১৫
শত্রু বা জালিমের মুখোমুখি হলে পড়বে-৪
اللهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ
আল্লা-হুম্মাক ফিনীহিম বিমা- শিঅতা।
হে আল্লাহ! তুমি যেভাবে ইচ্ছা ওদের বিরুদ্ধে আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাও।
-সহীহ মুসলিম, ৩০০৫
দু‘আ নং -১৬
শত্রু বা জালিমের মুখোমুখি হলে পড়বে-৫
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الوَكِيلُ
হাছবুনাল্লা-হু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল।
আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনিই উত্তম কর্মবিধায়ক।
-সহীহ বোখরী, ৪৫৬৩
দু‘আ নং -১৭
শত্রু বা জালিমের মুখোমুখি হলে পড়বে-৬
اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ جَمِيعًا، اللَّهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، وَأَعُوذُ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ أَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلَانٍ وَجُنُودِهِ وَأَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ، اللَّهُمَّ كُنْ لِي جَارًا مِنْ شَرِّهِمْ جَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَعَزَّ جَارُكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আ‘আঝ্যু মিন খলক্বিহী জামী‘আ-। আল্লা-হু আ‘আঝ্যু মিমমা- আখা-ফু ওয়া আহ্বযার, ওয়া আ‘ঊযুবিল্লাহিল লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হূ, আলমুমছিকুছ ছামা-ওয়াতিছ ছাব‘আ আইঁ য়াক্বা’না ‘আলাল অরযি ইল্লা- বিইযনিহী, মিন শাররি ‘আবদিকা ফুলানিন ওয়া জুনূদিহী, ওয়া আতবা-‘ইহী ওয়া আশয়া-‘ইহী মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনছি। আল্লা-হুম্মা কুনলী জারাম মিন শাররিহিম, জাল্লা ছানা-উকা ওয়া ‘আঝ্যা জা-রুকা, ওয়া তাবা-রকাছমুকা ওয়ালা- ইলাহা গইরুকা।
আল্লাহ সবচে বড়। আল্লাহ তাঁর সকল সৃষ্টির চে মহান। আমি যার আশংকা ও ভয় করছি আল্লাহ তার চেও মহীয়ান। আমি ঐ আল্লাহর আশ্রয় নিচ্ছি, যিনি ব্যতীত কেউ উপাস্য হবার উপযুক্ত নয়। যিনি সপ্তাকাশ ভূপাতিত হওয়া থেকে বাধা দিয়ে রেখেছেন, তবে যখন তাঁর ইচ্ছা হবে তখন ভূপাতিত হবে। আশ্রয় নিচ্ছি তোমার অমুক বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং তার সৈন্য-সামন্ত ও দলবল থেকে, তারা জিন-ভূত হোক বা মানুষ। হে আল্লাহ! এদের অনিষ্ট থেকে রক্ষায় তুমি আমার সাহয্যকারী হও। তোমার প্রশংসা মহিমান্বিত হোক, তোমার নিকট আশ্রয়কামীর জয় হোক, তোমার নাম বরকতময় হোক। তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই।
-আল-আদাবুল মুফরাদ, ৭০৮. হাদীসের সূত্র: সহীহ
দু‘আ নং -১৮
ঋণ থেকে বাঁচার জন্য বেশিবেশি পড়বে
اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ.
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হ্বাঝানি, ওয়াল ‘আজঝি ওয়াল কাছালি, ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া যালা‘ইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।
হে আল্লাহ! তোমার কাছে পানাহ চাই দুঃখ-দুশ্চিন্তা থেকে, অক্ষম হয়ে পড়া থেকে, আলস্য, ভীরুতা ও কার্পণ্য থেকে, ঋণের বোঝা থেকে এবং নিজের ঘাড়ে লোকজনের চেপে বসা থেকে।
-সহীহ বোখারী, ২৮৯৩
দু‘আ নং ১৯-
কোনো জটিলতা দেখা দিলে পড়বে
اللَّهُمَّ لَا سَهْلَ إِلَّا مَا جَعَلْتَهُ سَهْلًا، وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ سَهْلًا إِذَا شِئْتَ
আল্লা-হুম্মা লা-ছাহলা ইল্লা-মা- জা‘আলতাহূ ছাহলা-। ওয়া আনতা তাজ‘আলুল হ্বাঝনা ছাহলান ইযা শিঅতা।
হে আল্লাহ! তুমি সহজ না করলে কোনো কিছুই সহজ নয়। আর যখন তুমি চাও তখন দুঃশ্চিন্তার চিন্তার বিষয়ও সহজ করে দাও।
-সহীহ ইবনে হিব্বান, ৯৭৪. হাদীসের সূত্র: সহীহ
দু‘আ নং -২০
শিরক থেকে বাঁচার জন্য দু‘আ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লামু, ওয়া আছতাগফিরুকা লিমা লা- আ’লামু।
হে আল্লাহ! আমি জেনেশুনে তোমার সাথে শিরক করা থেকে তোমার কাছে পানাহ চাই। আর আমার অজানা ক্ষেত্রে তোমার নিকট ক্ষমা চাই।
-আল আদাবুল মুফরাদ, ৭১৬. হাদীসের সূত্র: সহীহ
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাই কে আমল করার তৈফিক দান করুন।
আমিন।
0 Comments