গরু ছাগল বর্গা দেওয়ার বৈধ পদ্ধতি।

গরু ছাগল বর্গা দেওয়ার বৈধ পদ্ধতি: ----------------------------------------------------- আমাদের দেশে গরু ছাগল বর্গা দেওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রকম চুক্তিতে বর্গা দেওয়া হয় যে, তুমি এটাকে লালন-পালন করার পর তা থেকে যা লাভ আসবে- তার অর্ধেক আমার আর বাকি অর্ধেক তোমার। উপরোল্লেখিত পদ্ধতিতে বর্গা দেওয়া বৈধ হবে না। কারণ এটা ইজারার অন্তর্ভুক্ত কিন্তু সময় ও পারিশ্রমিক উভয়টাই অনির্ধারিত। অতএব এ ধরণের বর্গা ইজারায়ে ফাছেদার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তা জায়েয হবে না। তবে লালনপালনের সময় ও মজুরি নির্ধারণ করে নিলে তা জায়েয হবে। অবশ্য নির্ধারিত মেয়াদ শেষে নির্ধারিত বিনিময়ের পরিবর্তে অন্য কিছু দেওয়া যাবে। গরু ছাগল বর্গা দেওয়ার একটি বৈধ পদ্ধতি : মালিক গরু বা ছাগলের মূল্য নির্ধারণ করে নিবে। তারপর মালিক ও বর্গাগ্রহীতা তা সমান ভাবে ভাগ করে নিবে। বর্গাগ্রহীতা অর্ধেক মূল্য মালিককে পরিশোধ করবে, তবে মালিক তা পরিশোধ করা থেকে বর্গাগ্রহীতাকে মাফ করে দিবে অথবা লালনপালনের মজুরি ও আহারের মূল্য বাবদ কর্তন করে দিবে। এরপর ওই প্রাণী থেকে যে বাচ্চা হবে, বা যা লাভ আসবে- তা উভয়েই অংশীদার হিসেবে সমান ভাগে ভাগ করে নিতে পারবে। হাঁস মুরগি বা অন্য কোনো পাখি বর্গা দেওয়ার বৈধ পদ্ধতিও এমনটিই। মালিক বর্গাগ্রহীতার নিকট অর্ধেক জন্তু বিক্রি করে তাকে এ পশুপাখিতে শরীক করে নিবে। এরপর বিক্রির মূল্য মালিক মাফ করে দিবে অথবা লালনপালনের মজুরি ও আহারের মূল্য বাবদ কর্তন করে দিবে। ﻭﺍﻟﺤﻴﻠﺔ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﺍﻥ ﻳﺒﻴﻊ ﻧﺼﻒ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ ﻣﻦ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻭﻧﺼﻒ ﺍﻟﺪﺟﺎﺟﺔ ﻭ ﻧﺼﻒ ﺑﺬﺭ ﺍﻟﻔﻠﻴﻖ ﺑﺜﻤﻦ ﻣﻌﻠﻮﻡ ﺣﺘﻰ ﺗﺼﻴﺮ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ ﻭﺍﺟﻨﺎﺳﻬﺎ ﻣﺸﺘﺮﻛﺔ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﻓﻴﻜﻮﻥ ﺍﻟﺤﺎﺩﺙ ﻣﻨﻬﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺸﺮﻛﺔ (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াহ্ : ২/৩৩৫, ৪/৪৪৬) আরো কিছু বৈধ পদ্ধতি রয়েছে যা বিজ্ঞ মুফতীয়ানে কেরাম থেকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করে জেনে নেওয়া যেতে পারে।

Post a Comment

0 Comments