দৈনন্দিন করণীয় দু'আ।

দু'আ নং-১ ঘুমের দু‘আ ও যিকির-১ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَلْجَا وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ. আল্লা-হুম্মা আছলামতু নাফসী ইলাইকা, ওয়া ফাউওয়াজতু আমরী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহী ইলাইকা, ওয়া আলজাঅতু যহরী ইলাইকা, রগবাতাওঁ ওয়া রহবাতান ইলাইকা, লা-মালজাআ ওয়ালা- মানজা- মিনকা ইল্লা- ইলাইকা, আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা, ওয়াবি নাবিয়্যিকাল্লাযী আরছালতা। ইয়া আল্লাহ! আমি আমার সত্ত্বা তোমার নিকট সঁপে দিলাম। আমার চেহারা তোমার অভিমুখী করে নিলাম। আমার যাবতীয় বিষয় তোমার যিম্মায় সোপর্দ করলাম। আমার দেহ-পিঠ তোমার আশ্রয়ে রেখেদিলাম। তোমার কাছে এই সমর্পণ তোমার সন্তুষ্টির আশায় এবং কোনো বিচ্যুতি ঘটে যাবার আশংকায়। তোমার পাকড়াও থেকে বাঁচার জন্য তোমার কাছে ফিরে আসা ছাড়া অন্য কোনো আশ্রয় কিংবা গত্যন্তর নেই। ঈমান আনলাম তোমার নাযিল করা কিতাব এবং তোমার প্রেরিত নবীর প্রতি। যে ব্যক্তি অযুর সাথে এ দু‘আ পড়ে ঘুমাইবে, ঐ রাতে যদি তার মৃত্যু হয় তবে ঈমানের সাথে মৃত্যু হয়েছে বলে গণ্য হবে। -সহীহ বোখারী, ৬৩১৫ দু'আ নং-২ ঘুমের দু‘আ ও যিকির-২ اللَّهمَّ باسْمك أموتُ وأحيَا আল্লা-হুম্মা বিছমিকা অমূতু ওয়া আহ্বয়া-। তোমার নামে হে আল্লাহ! আমার মরণ (ঘুম) আমার জীবন (জাগরণ)। -সহীহ বোখারী, ৫৯৬৫ দু'আ নং-৩ ঘুমের দু‘আ ও যিকির-৩ بِاسْمِكَ رَبِّ وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ، إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا، وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا، بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ. বিছমিকা রব্বি, ওযা’তু জানবী, ওয়াবিকা আরফা‘উহূ, ইন আমছাকতা নাফছী ফারহ্বামহা-, ওয়া ইন আরছালতাহা- ফাহ্বফাযহা- বিমা- তাহ্বফাযু বিহী ‘ইবাদাকাস স-লিহীন। তোমার নামে হে মালিক! আমি আমার পার্শ্ব এলিয়ে দিলাম, তোমার নামেই তা ওঠাবো। যদি আমার রূহ তুমি আটকে দাও তবে রহম করো। আর যদি ছেড়ে দাও তবে হেফাজত করো, যেভাবে তুমি তোমার নেক্কার বান্দাদের হেফাজত করে থাকো। -সহীহ বোখারী, ৬৩২০ দু'আ নং-৪ ঘুমের দু‘আ ও যিকির-৪ اللَّهمَّ قِنِي عَذَابَكَ يومَ تبعثُ عبادَكَ. আল্লা-হুম্মা কিনী ‘আযাবাকা য়াওমা তাব‘আছু ‘ইবাদাক। হে আল্লাহ! তোমার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো, যেদিন তোমার বান্দাদের তুমি পুনর্জীবিত করবে। আল-আদাবুল মুফরাদ, ১২১৫ হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-৫ ঘুমের দু‘আ ও যিকির-৫ اللهُمَّ خَلَقْتَ نَفْسِي وَأَنْتَ تَوَفَّاهَا، لَكَ مَمَاتُهَا وَمَحْيَاهَا، إِنْ أَحْيَيْتَهَا فَاحْفَظْهَا، وَإِنْ أَمَتَّهَا فَاغْفِرْ لَهَا، اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ. আল্লা-হুম্মা খলাক্বতা নাফছী ওয়া আনতা তাওয়াফ্ফা-হা-, লাকা মামা-তুহা- ওয়ামাহ্বয়াহা-, ইন আহ্বয়াইতাহা- ফাহ্বফাযহা- ওয়া ইন আমাত্তাহা- ফাগফিরলাহা-, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছআলুকাল ‘আ-ফিয়াহ। হে আল্লাহ! আমার দেহ-প্রাণ তুমি সৃষ্টি করেছো, আর তুমিই তাকে মৃত্যু দিবে। তোমার জন্যই তার জীবন-মরণ। যদি তাকে জীবিত রাখো তবে (শয়তান থেকে) হেফাজত করো। আর যদি মৃত্যু দাও তবে ক্ষমা করো। আল্লাহ! আমি তোমার কাছে পূর্ণ সুরক্ষা প্রার্থনা করি। -সহীহ মুসলিম, ২৭১২ দু'আ নং-৬ ঘুমের দু‘আ ও যিকির-৬ اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ، وَرَبَّ الأَرْضِ، وَرَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ، رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ، فَالِقَ الحَبِّ وَالنَّوَى، وَمُنْزِلَ التَّوْرِاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالفُرْقَانِ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا، اللَّهُمَّ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ البَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ، اقْضِ عَنَّا الدَّيْنَ، وَأَغْنِنَا مِنَ الفَقْرِ. আল্লা-হুম্মা রব্বাছ ছামা-ওয়া-তি, ওয়া রব্বাল আরযি, ওয়া রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম, রব্বানা ওয়া রব্বা কুল্লি শাই, ফা-লিক্বাল হ্বাব্বি ওয়ান্নাওয়া-, ওয়া মুনযিলাত তাওরাতি ওয়াল ইনজীলি ওয়াল ফুরক্বা-ন, আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি কুল্লি দা-ব্বাতিন আনতা আ-খিযুম বিনা-সিয়াতিহা-, আল্লা-হুম্মা আনতাল আউওয়ালু ফালাইছা ক্ববলাকা শাই, ওয়া আনতাল আ-খিরু ফালাইছা বা’দাকা শাই। ওয়া আনতায যাহিরু ফালাইছা ফাওক্বাকা শাই। ওয়া আনতাল বা-তিনু ফালাইছা দূনাকা শাই। ইক্বযি ‘আন্নাদ দাইন। ওয়া আগনি না- মিনাল ফাক্বরি। হে আল্লাহ! নভোমন্ডলের মালিক, ভূমন্ডলের প্রতিপালক, মহান আরশের অধিপতি, হে আমাদের এবং সর্বসৃষ্টির পালনকর্তা, বীজ-দানা বিদীর্ণকারী, তাওরাত-ইঞ্জিল ও কোরআনের অবতারক, তোমার করতলগত সকল প্রাণীর অনিষ্ট থেকে আমি তোমার কাছে আশ্রয় নিলাম। হে আল্লাহ! তুমিই প্রথম, তোমার আগে কিছু নেই। তুমিই শেষ, তোমার পরে কিছু নেই। সবার উপর তুমিই প্রকাশমান, তোমার উপর কেউ নেই। সবার নিকট তুমি গুপ্ত, তোমার থেকে গুপ্ত কেউ নেই। তুমি আমাদেরকে ঋণ শোধের ব্যবস্থা করে দাও। দারিদ্র্যের মুখাপেক্ষিতা থেকে বাঁচিয়ে দাও। -সহীহ মুসলিম, ২৭১৩ দু'আ নং-৭ ঘুমের দু‘আ ও যিকির-৭ الحَمْدُ للهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا، وَكَفَانَا وَآوَانَا، فَكَمْ مِمَّنْ لاَ كَافِيَ لَهُ وَلاَ مُؤْوِي. আলহ্বামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব ‘আমানা- ওয়াসাক্বা-না-, ওয়াকাফা-না-, ওয়া আ-ওয়া-না-। ফাকাম মিম মান লা- কা-ফিয়া লাহূ ওয়া লা-মুঅবিয়া। সকল হাম্দ ও শোকর ঐ আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং যথেষ্ট পরিমাণ দান করেছেন, আর আশ্রয় দিয়েছেন। কত লোক আছে, যাদের যথেষ্ঠ পরিমাণ নেই, আশ্রয় দেয়ার মতও কেউ নেই। -সহীহ মুসলিম, ২৭১৫ দু'আ নং-৮ ঘুমের দু‘আ ও যিকির-৮ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ. null আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই চিরঞ্জীব, সাধিষ্ঠ নিয়ন্তা। তন্দ্রা বা নিদ্রা যাকে ধরতে পারে না। আকাশমণ্ডল ও ভূলোকে যা কিছু আছে সব তাঁরই। এমন কে আছে যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তিনি তাদের আগের পিছের সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত, কিন্তু তারা তাঁর ইলমের কোনো অংশ আয়ত্তে নিতে পারে না, তবে যেটুকু তিনি চান সেটুকু ব্যতিক্রম। তাঁর (ক্ষমতার) কুরসী সকল আসমান ও জমিন বেষ্টন করে আছে। এ দুয়ের সংরক্ষণ তাঁকে মোটেই ক্লান্ত করতে পারে না। আর তিনি সমুচ্চ, তিনি মহীয়ান। ফায়দা: যে ব্যক্তি রাতে আয়াতুল কুরসী পড়ে ঘুমাবে, তাকে হেফাজত করার জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে রক্ষী নিযুক্ত হবে এবং সকাল পর্যন্ত জিন-শয়তান তার কাছে ভিড়তে পারবে না। [১] ফায়দা: ঘুমের সময় ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার বলা একজন সেবাদাস লাভের চেও উত্তম। [২] [১]-সহীহ বোখারী, ২৩১১ [২]-সহীহ বোখারী, ৫৩৬২ দু'আ নং-৯ ঘুমের দু‘আ ও যিকির-৯ بسم الله الرحمن الرحيم قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ . اللَّهُ الصَّمَدُ . لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ . وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ بسم الله الرحمن الرحيم قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ . مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ . وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ .وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ . وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ بسم الله الرحمن الرحيم قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ . مَلِكِ النَّاسِ . إِلَهِ النَّاسِ. مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ . الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ . مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ পরম করুণাময় চির মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু বলুন আল্লাহ এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। আর কেউ কোনো বিষয়ে তাঁর সমতূল্য নয়। পরম করুণাময় চির মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের মালিকের নিকট, তাঁর সমুদয় সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে। সমাগত অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, গিট্টুতে ফুঁ দিয়ে যাদুকারীনীদের অনিষ্ট থেকে, হিংসারত হিংসুকের অনিষ্ট থেকে। পরম করুণাময় চির মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার নিকট, মানুষের অধিপতির নিকট, মানুষের উপাস্যের নিকট তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দিয়ে আত্মগোপন করে, মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা সৃষ্টি করে, সে জিন হোক বা মানুষ। ফায়দা: ঘুমের সময় দুই হাত জড়ো করে এই তিন সূরা পড়বে এবং তাতে ফুঁ দিবে। এরপর যদ্দূর সম্ভব সারা শরিরে দুই হাত মুছবে। এইভাবে তিনবার সূরা পড়ে গায়ে হাত মুছবে। -সহীহ বোখারী, ৫০১৭ দু'আ নং-১০ ঘুম থেকে ওঠার দু‘আ-১ الحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ. আলহ্বামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্বয়া- না- বা’দামা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন নুশূর। শোকর ঐ আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে মৃত্যু দানের পর জীবিত করে তুলেছেন, আর তাঁর নিকটই হবে শেষ উত্থান। -সহীহ বোখারী, ৫৯৬৫ দু'আ নং-১১ ঘুম থেকে ওঠার দু‘আ-২ الحَمْدُ للهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي وَرَدَّ عَلَيَّ رُوحِي، وَأَذِنَ لِي بِذِكْرِهِ আলহ্বামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী ফী জাছাদী ওয়া রদ্দা ‘আলাইয়া রূহ্বী। ওয়া আযিনালী বিযিকরিহী। প্রশংসা ঐ আল্লাহর, যিনি আমার দেহে সুরক্ষা দান করেছেন, আমার প্রাণ আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিকির করার সুযোগ দিয়েছেন। -সুনানে কুবরা নাসাঈ, ১০৬৩৬. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১২ রাতে ঘুম না এলে পড়বে اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ وَمَا أَظَلَّتْ، وَرَبَّ الْأَرْضِينَ وَمَا أَقَلَّتْ، وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضَلَّتْ، كُنْ لِي جَارًا مِنْ شَرِّ خَلْقِكَ كُلِّهِمْ جَمِيعًا أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ يَبْغِيَ، عَزَّ جَارُكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ আল্লা-হুম্মা রব্বাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়া মা-আ যল্লাত, ওয়া রব্বাল আরযীনা ওয়ামা-আ ক্বল্লাত, ওয়া রব্বাশ শায়াতীনি ওয়ামা-আ যল্লাত, কুনলী জারাম মিন শাররি খলক্বিকা কুল্লিহিম জামী‘আ। আইঁ য়াফরুত্বা ‘আলাইয়া আহ্বাদুম মিনহুম আও য়াবগিয়া। ‘আযযা জারুকা ওয়ালা- ইলা-হা গাইরুকা। হে আল্লাহ! সাত আসমান ও তার ছায়া প্রাপ্ত সকল বস্তুর হে মালিক! জমিনসমূহ এবং তার সমুদয় আরোহীর হে প্রতিপালক! শয়তান এবং তার দ্বারা বিভ্রান্তদের হে অধিকর্তা! তোমার সকল সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে সুরক্ষা লাভে তুমি আমার সাহায্যকারী হও। যেন কেউ আমার উপর সীমালংঘন এবং অবিচার করতে না পারে। তোমার আশ্রয় গ্রহণকারীর জয় হোক, তোমার মহিমা সমুচ্চ হোক। তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, ২৯৬২. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১৩ রাতে ঘুম ভাংলে পড়বে لا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، سُبْحَانَكَ، اللَّهُمَّ أَسْتَغْفِرُكَ لِذَنْبِي، وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ، اللَّهُمَّ زِدْنِي عِلْمًا، وَلَا تُزِغْ قَلْبِي بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنِي، وَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً، إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّاب লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা ছুবহ্বানাকা, আল্লা-হুম্মা আছতাগফিরুকা লিযামবী, ওয়া আছআলুকা রহ্বমাতাকা, আল্লা-হুম্মা ঝিদনী ইলমা, ওয়ালা- তুঝিগ ক্বলবী বা’দা ইয হাদাইতানী। ওয়া হাবলী মিন লাদুনকা রহ্বমাহ, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব। তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। হে আল্লাহ! আমার পাপের জন্য তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার রহম কামনা করছি। হেআল্লাহ! আমার ইলম বাড়িয়ে দাও। হেদায়েত দানের পর আমার মনকে তা থেকে উঠিয়ে দিও না। আর তোমার পক্ষ হতে আমাকে বিশেষ রহমত দান করো। তুমি তো সবচে বড় দাতা। -সুনানে আবু দাউদ, ৫০৬৩. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১৪ ভয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলে পড়বে أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ، وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ. আ‘উযু বিকালিমা- তিল্লা-হিত তা-ম্মাহ, মিন গযবিহী ওয়া ইক্বাবিহী ওয়া শাররি ‘ইবাদিহী, ওয়া মিন হামাঝা-তিশ শায়াতীনি ওয়া আইঁ য়াহ্বযুরূন। আমি আল্লাহ তাআলার পূর্ণ-দৃঢ় কালিমাসমুহের আশ্রয় নিচ্ছি তাঁর আযাব ও গজব থেকে, তাঁর সকল মাখলুকের অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুস্পর্শ ও উপস্থিতি থেকে। -সুনানে তিরমিযী, ৩৫২৮. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১৫ কাপড় পরার দু‘আ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي، وَلَا قُوَّةٍ আলহ্বামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাছানী হা-যাছ ছাওবা ওয়া রঝাক্বানীহি মিন গইরি হ্বাওলিম মিন্নী ওয়ালা- ক্বুওয়াহ। শোকর ঐ আল্লাহর, যিনি আমাকে এ পোশাক পরিয়েছেন, তিনি নিজেই আমাকে তা দান করেছেন; আমার কোনো শক্তি-বুদ্ধিতে নয়। ফায়দা: যে ব্যক্তি কাপড় পরার সময় এ দু‘আ পড়বে, আল্লাহ তাআলা তার আগের পরের যত গুনাহ মাফ করে দিবেন। -সুনানে আবু দাউদ, ৪০২৩. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১৬ হাম্মামে প্রবেশের দু‘আ اللَّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الخُبُثِ وَالخَبَائِثِ. আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খবা- ইছ। হে আল্লাহ! প্রেত-পেতনির অনিষ্ট থেকে আমি তোমার কাছে পানাহ চাই। -সহীহ বোখারী, ৬৩২২ দু'আ নং-১৭ হাম্মাম সারার পর পড়বে غُفْرَانَك الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الأَذَى وَعَافَانِي. গুফরা-নাকা, আলহ্বামদু লিল্লা-হিল্লাযী আযহাবা ‘আন্নিল আযা- ওয়া ‘আ-ফা-নী। ক্ষমা প্রার্থনা তোমার নিকট। আল্লাহর শোকর, যিনি আমার দেহ থেকে কষ্ট বিদূরিত করেছেন এবং আমাকে সুরক্ষা দান করেছেন। -সুনানে তিরমিযী, ৭ হাদীসের সূত্র: সহীহ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ লি ইবনিস সুন্নী. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১৮ বৈঠক শেষ করার দু‘আ-১ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ ছুবহ্বা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহ্বামদিকা, আশহাদু আনলা- ইলা-হা ইল্লা-আনতা, আছতাগ ফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক। হে আল্লাহ! আমি তোমার সপ্রশংস প্রবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি, তোমার কাছে ফিরে আসছি। -সুনানে আবু দাউদ, ৪৮৫৯. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-১৯ বৈঠক শেষ করার দু‘আ-২ اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا يَحُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيكَ، وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ، وَمِنَ اليَقِينِ مَا تُهَوِّنُ بِهِ عَلَيْنَا مُصِيبَاتِ الدُّنْيَا، وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا، وَاجْعَلْهُ الوَارِثَ مِنَّا، وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا، وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا، وَلَا تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا، وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلَا مَبْلَغَ عِلْمِنَا، وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَا يَرْحَمُنَا আল্লা-হুম্মাক্বছিম লানা- মিন খশয়াতিকা মা-য়াহ্বূলু বাইনানা- ওয়া বাইনা মা‘আ-সীকা-, ওয়া মিন ত্ব-‘আতিকা মা-তুবাল্লিগুনা- বিহী জান্নাতাকা, ওয়া মিনাল য়াক্বীনি মা-তুহাওইনু বিহী ‘আলাইনা- মুসীবা-তিদ দুনয়া, ওয়া মাত্তি’না- বিআছমা-‘ইনা- ওয়া আবসা-রিনা- ওয়া ক্বুওয়াতিনা- মা-আহ্বয়াইতানা-। ওয়াজ‘আলহুল ওয়ারিছা মিন্না, ওয়াজ‘আল ছাঅরনা- ‘আলা-মান যলামানা-। ওয়ানসুরনা- ‘আলা-মান ‘আ-দা-না-। ওয়ালা- তাজ‘আল মুসীবাতানা- ফীদীনিনা-। ওয়ালা তাজ‘আলিদ দুনয়া আকবারা হাম্মিনা- ওয়ালা- মাবলাগা ‘ইলমিনা, ওয়ালা- তুছাল্লিাত ‘আলাইনা- মানলা- য়ারহ্বামুনা-। হে আল্লাহ! আমাদের ভাগ্যে তোমার সশ্রদ্ধ ভয় এতটুকু নসিব করো, যা আমাদের মাঝে এবং তোমার অবাধ্যতার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এই পরিমাণ আনুগত্যের তাওফীক দাও, যা আমাদেরকে তোমার জান্নাতে পৌঁছে দেবে। এতটা ঈমান আমাদের অংশে দান করো, যা আমাদের সামনে দুনিয়ার সকল কষ্ট নস্যি করে দিবে। আর আমাদেরকে আমাদের শ্রবণশক্তি, দর্শনশক্তি এবং কর্মক্ষমতা দ্বারা আজীবন উপকৃত করো। এগুলো আমাদের ওয়ারিসদের মাঝেও বাকি রোখো। আমাদের পক্ষ হতে প্রতিশোধ নাও কেবল তাদের উপর, যারা আমাদের উপর যুলুম করে। আমাদেরকে সাহায্য করো তাদের বিরুদ্ধে, যারা আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করে। আর আমাদেরকে আমদের ধর্মীয় বিষয়ে বিপদগ্রস্থ করো না। ইহকালকে আমাদের সবচে বড় ভাবনার বিষয় বানিয়ো না এবং এর মাঝেই আমাদের বিদ্যা-বুদ্ধি সীমাবদ্ধ করে দিও না। আর এমন কাউকে আমাদের উপর কর্তৃত্ব দিয়ো না, যে আমাদের প্রতি সদয় হবে না। -সুনানে তিরমিযি, ৩৫০২. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-২০ মজলিসের মাঝে মাঝে পাঠ্য দু‘আ رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ রব্বিগ ফিরলী ওয়া তুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত তাউয়া-বুর রহীম। পরওয়ারদেগার! আমাকে মাফ করো, আমার তওবা কবুল করো। তুমিই তো তওবা কবুলকারী চির দয়াময়। -সুনানে আবু দাউদ, ১৫১৬. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু'আ নং-২১ কোনো খাবার সামনে এলে এ দু‘আ পড়বে اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ، وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা-ফীহি ওয়া আত্ব‘ইমনা খইরাম মিনহু। হে আল্লাহ! আমদের এই খাবারে বরকত দাও, এর চেও উত্তম খাবার আমাদেরকে দান করো। -সুনানে আবু দাউদ, ৩৭৩০. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-২২ দুধ পান করার দু‘আ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ، وَزِدْنَا مِنْهُ আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা-ফীহি ওয়া ঝিদনা মিনহু। হে আল্লাহ! এই দুধে আমাদের জন্য বরকত দাও এবং আরও বেশি বেশি দুধ আমাদেরকে দান করো। -সুনানে আবু দাউদ, ৩৭৩০. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-২৩ খানা শেষে পড়বে الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا ، وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ আলহ্বামদু লিল্লাহিল লাযী আত্ব‘আমানী হা-যাত ত্ব‘আ-মা ওয়া রঝাক্বানীহি মিন গইরি হ্বাওলিম মিন্নী ওয়ালা- ক্বুওয়াহ। শোকর ঐ আল্লাহর, যিনি আমাকে এ খাবার খাইয়েছেন এবং আমার তরফ থেকে কোনো শক্তি ও কৌশলের প্রয়োগ ছাড়াই আমাকে তা দান করেছেন। ফায়দা: যে ব্যক্তি খানা শেষে এই দু‘আ পড়বে আল্লাহ তাআলা তার পিছনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। -সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩২৮৫. হাদীসের সূত্র: হাসান দু'আ নং-২৪ দস্তরখান গুটানোর দু‘আ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ غَيْرَ مَكْفِيٍّ، وَلَا مُوَدَّعٍ، وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا আলহ্বাম দুলিল্লাহি হ্বামদান কাছীরান ত্বইয়িবান মুবা-রকান ফীহ, গইরা মাকফিইয়িন ওয়া লা-মুওয়াদ্দা‘ইন, ওয়ালা- মুছতাগনান ‘আনহু রব্বানা-। আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা, যা প্রচুর নিখাঁদ ও বরকতময়। কিন্তু তাঁর দানের তুলনায় একে যথেষ্ট ভাবা যায় না। হে আমাদের পালনকর্তা! তোমার দানকে বিদায় জানানো যায় না, এ থেকে কখনো বিমুখতা প্রদর্শন করা চলে না। -সুনানে আবু দাউদ, ৩৮৪৯. হাদীসের সূত্র: সহীহ আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তৈফিক দান করুন। আমিন।

Post a Comment

1 Comments