অযু,নামাজ,মসজিদ সম্পর্কৃত দৈনন্দিন করণীয় দু'আ।

দু‘আ নং-১ অযু-পরবর্তী যিকির أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ. আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকালাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহ্বাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়ারাসূলুহ। আল্লা-হুম্মাজ ‘আলনী মিনাত তাওয়াবীনা ওয়াজ ‘আলনী মিনাল মুতাত্বহ হিরীন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ইবনে আব্দুল্লাহ) হলেন তাঁর বান্দা ও রাসুল। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তওবাকারীদের মধ্যে শামিল করে নাও এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে গণ্য করে নাও। ফায়দা: যে ব্যক্তি অযু শেষে এ দু‘আ পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছ সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। -সুনানে তিরমিযী, ৫৫. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু‘আ নং ২ মসজিদে গমনের দু‘আ اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا، وَفِي بَصَرِي نُورًا، وَفِي سَمْعِي نُورًا، وَعَنْ يَمِينِي نُورًا، وَعَنْ يَسَارِي نُورًا، وَفَوْقِي نُورًا، وَتَحْتِي نُورًا، وَأَمَامِي نُورًا، وَخَلْفِي نُورًا، وَاجْعَلْ لِي نُورًا. আল্লাহ-হুম্মাজ ‘আল ফী ক্বলবী নূরা-, ওয়া ফী বাসারী নূরা-, ওয়া ফী ছাম‘ঈ নূরা-, ওয়া ‘আইঁ য়ামীনী নূরা-, ওয়া ‘আইঁ য়াছারী নূরা-, ওয়া ফাওক্বী নূরা-, ওয়া তাহ্বতী নূরা-, ওয়া আমা-মী নূরা-, ওয়া খলফী নূরা-, ওয়াজ ‘আললী নূরা-। হে আল্লাহ! আমার আত্মায় আলো দাও, চোখে নূর দাও, কানে প্রভা দাও, দীপ্তি দাও আমার ডানে-বাঁয়ে উপরে-নিচে সামনে-পিছনে। আমার সবছিু আলোকিত করে দাও। -সহীহ বোখারী, ৬৩১৬ দু‘আ নং ৩ মসজিদে প্রবেশের দু‘আ-১ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ. আল্লা-হুম্মাফ তাহ্বলী আবওয়া-বা রহ্বমাতিক। হে আল্লাহ! তোমার রহমতের সবগুলো দরজা আমার জন্য খুলে দাও। -সহীহ মুসলিম, ৭১৩ দু‘আ নং -৪ মসজিদে প্রবেশের দু‘আ-২ بِسْمِ اللهِ، وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللهِ، اللهُمَّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي، وَافْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ. বিছমিল্লা-হ, ওয়াছ ছালামু ‘আলা রসূলিল্লাহ। আল্লা-হুম্মাগফিরলী যুনূবী ওয়াফ তাহ্বলী আবওয়া-বা রহ্বমাতিক। আল্লাহর নামে আমার প্রবেশ। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসুলের উপর। হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দাও, তোমার রহমতের দরজাগুলো খুলে দাও। মুসনাদে আহমদ, ২৬৪১৭. হাদীসের সূত্র: হাসান দু‘আ নং ৫ মসজিদে প্রবেশের দু‘আ-৩ أَعُوذُ بِاللهِ العَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الكِرِيمِ، وَسُلْطَانِهِ القَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ. আ‘ঊযুল্লিা-হিল ‘আযীম ওয়াবি ওয়াজহিহিল কারীম, ওয়া ছুলত্বা-নিহিল ক্বদীম। বিতাড়িত শয়তান থেকে আমি আল্লাহ পাকের সুমহান সত্ত্বা, মহিমান্বিত চেহারা এবং অনাদি ক্ষমতার আশ্রয় নিচ্ছি। -সুনানে আবু দাউদ, ৪৬৬. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু‘আ নং ৬ মসজিদ থেকে বের হওয়ার দু‘আ اللَّهُمَّ إنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ. আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছআলুকা মিন ফাযলিক। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার অনুগ্রহ-জীবিকা প্রার্থনা করছি। -সহীহ মুসলিম, ৭১৩ দু‘আ নং ৭ আযান শুনে এই দু‘আ করবে اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ القَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الوَسِيلَةَ وَالفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ. আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা’ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াস সলা-তিল ক্ব-ইমাহ, আ-তি মুহ্বাম্মাদানিল ওয়াছীলাতা ওয়াল ফাযীলাহ, ওয়াব ‘আছহু মাকামাম মাহ্বমূদানিল্লাযী ওয়া ‘আত্তাহ। হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও শাশ্বত নামাযের হে মালিক! হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দান করো ওয়াসীলা নামের সর্বোচ্চ সম্মান ও সুমহান মর্যাদা এবং তাঁকে অধিষ্ঠিত করো শাফাআতের প্রশংসিত স্থানে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছো। ফায়দা: আযান শুনে যে ব্যক্তি এ দু‘আ পড়বে, সে নবীজীর পক্ষ হতে জান্নাতের সুপারিশ লাভ করবে। -সহীহ বোখারী, ৪৭১৯ দু‘আ নং ৮ নামাযের শুরুতে সানা ও যিকির-১ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ. ছুবহ্বা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়াবি হ্বামদিকা ওয়া তাবা-রকাছমুকা ওয়াতা ‘আ-লা- জাদ্দুকা ওয়ালা-ইলা-হা গইরুক। তোমার প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করি হে আল্লাহ! তোমার নাম বরকতময় হোক, তোমার মহিমা সমুচ্চ হোক। তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। -সহীহ মুসলিম, ৩৯৯ দু‘আ নং ৯ নামাযের শুরুতে সানা ও যিকির-২ اللهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খত্বা-য়া-য়া কামা- বা-‘আত্তা বাইনাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাকক্বিনী মিন খত্বা-য়া-য়া কামা- ইউনাকক্বাছ ছাওবুল আবয়াযু মিনাদ দানাছ। আল্লা-হুম্মাগ ছিলনী মিন খত্বা-য়া-য়া বিছ ছালজি ওয়াল মা-ই ওয়াল বারাদ। হে আল্লাহ! আমার এবং আমার পাপের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করে দাও যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করেছো তুমি পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে সেভাবে পরিচ্ছন্ন করো, ময়লা-দাগ থেকে সাদা কাপড় যেভাবে পরিষ্কার করা হয়। আল্লাহ! আমার গুনাহ থেকে আমাকে ধুয়ে দাও বরফ দিয়ে, পানি দিয়ে, শিশির দিয়ে। -সহীহ মুসলিম, ৫৯৮ দু‘আ নং ১০ নামাযের শুরুতে সানা ও যিকির-৩ وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي، وَنُسُكِي، وَمَحْيَايَ، وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، اللهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي، وَأَنَا عَبْدُكَ، ظَلَمْتُ نَفْسِي، وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا، إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، وَاهْدِنِي لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ لَا يَهْدِي لِأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ، وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ، أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ. ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযা হ্বানীফাঁও ওয়ামা- আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সলা-তী ওয়ানুছুকী ওয়া মাহ্বয়া-য়া ওয়া মামা-তী লিল্লা-হি রব্বিল ‘আ-লামীন। লা-শারীলাহূ ওয়াবিযা-লিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুছলিমীন। আল্লা-হুম্মা আনতাল মালিক, লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা, আনতা রব্বী ওয়া আনা ‘আবদুকা, যলামতু নাফছী ওয়া’ তারাফতু বিযামবী, ফাগফিরলী যুনূবী জামী‘আ-, ইন্নাহূ লা- য়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা। ওয়াহদিনী লিআহ্বছানিল আখলাক্বি, লা-য়াহদী লিআহ্বছানিহা- ইল্লা-আনতা। ওয়াসরিফ ‘আন্নী ছায়্যিআহা-, লায়াসরিফু ‘আন্নী ছায়্যিআহা- ইল্লা-আনতা। লাব্বাইকা ওয়া ছা’দাইকা, ওয়াল খইরু কুল্লুহূ ফী য়াদাইকা, ওয়াশ শররু লাইছা ইলাইকা, আনা বিকা ওয়া ইলাইকা, তাবারাকতা ও তা‘আলাইতা। আছতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা। আমি একনিষ্ঠভাবে নিজেকে ঐ সত্ত্বার অভিমুখী করলাম, যিনি আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর আদি স্রষ্টা। আমি মুশরিক নই, আমার নামায আমার উপাসনা, আমার জীবন আমার মরণ সবই আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই এমন একনিষ্ঠ ঈমান আনতেই আমি আদিষ্ট, আমি একজন মুসলমান। হে আল্লাহ! তুমিই বাদশাহ। তুমি ছাড়া কেউ উপাস্য হবার যোগ্য নয়। আমার মালিক তুমি, আমি তোমার গোলাম। নিজের উপর আমি অবিচার করে ফেলেছি, গুনাহের কথা আমি স্বীকার করছি, আমার সব গুনাহ ক্ষমা করে দাও। তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার কেউ নেই। আমাকে তুমি সুনীতির প্রতি পথনির্দেশ করো, তুমি ছাড়া সুনীতি শেখানোর কেউ নেই। আর আমার দুঃস্বভাব দূর করে দাও, তুমি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই। আমি তোমার আনুগত্যে হাজির, তোমার আনুগত্যে আমি ভাগ্যবান। সকল মঙ্গল তোমার হাতে, কোনো মন্দ তোমার দিকে নয়। তোমার দ্বারাই আমার সব, তোমার দিকেই আমার সব। বরকতময় তুমি, মহিমাময় তুমি। তোমার কাছে ক্ষমা চাই, তোমার দিকেই ফিরে আসি। -সহীহ মুসলিম, ৭৭১ দু‘আ নং ১১ তাহাজ্জুদের জন্য উঠলে এই দু‘আ পড়বে اللَّهُمَّ لَكَ الحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الحَمْدُ لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الحَمْدُ أَنْتَ الحَقُّ وَوَعْدُكَ الحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ আল্লা-হুম্মা লাকাল হ্বামদু আনতা ক্বায়্যিমুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ামান ফীহিন্না। ওয়া লাকাল হ্বামদু লাকা মুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ামান ফীহিন্না। ওয়া লাকাল হ্বামদু আনতা নূরুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ামান ফীহিন্না। ওয়া লাকাল হ্বামদু আনতা মালিকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ামান ফীহিন্না। ওয়া লাকাল হ্বামদু, আনতাল হ্বাকক্বু ওয়া ওয়া’দুকাল হ্বাকক্বু। ওয়া লিক্বা-উকা হ্বাকক্বুন, ওয়া ক্বউলুকা হ্বাকক্বুন, ওয়াল জান্নাতু হ্বাকক্বুন, ওয়ান্নারু হ্বাকক্বুন, ওয়ান নাবিয়্যূনা হ্বাকক্বুন, ওয়া মুহ্বাম্মাদুন সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামা হ্বাকক্বুন, ওয়াছ ছা‘আতু হ্বাকক্বুন। আল্লা-হুম্মা লাকা আছলামতু, ওয়া বিকা আ-মানতু, ওয়া ‘আলাইকা তাওয়াক্কালতু, ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়া বিকা খাসামতু, ওয়া ইলাইকা হ্বা-কামতু, ফাগফিরলী মা-ক্বদ্দামতু ওয়ামা- আখ্যরতু। ওয়ামা- আছরারতু ওয়ামা- আ’লানতু। আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখ্যিরু। লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা। হে আল্লাহ! প্রশংসা তোমার। তুমিই আসমান-জমিন এবং এর মধ্যকার সব কিছুর নিয়ন্তা। তোমার জন্য আরও প্রশংসা, আসমান-জমিন এবং এর মধ্যকার সব কিছুর মালিকানা তোমার। সকল স্তুতি তোমার, তুমি আসমান-জমিনের আলো। তোমার জন্যই স্তব-স্তুতি, আসমান-জমিনের তুমি বাদশাহ। এবং তোমার জন্যই যাবতীয় স্তুতি-প্রশংসা। তোমার অস্তিত্ব সত্য, তোমার ওয়াদা সত্য। তোমার কাছে হাজির হওয়া সত্য, তোমার বাণী সত্য। জান্নাত সত্য জাহান্নাম সত্য। সকল নবী সত্য, নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য, কেয়ামত সত্য। হে আল্লাহ! আমি সমর্পিত হলাম তোমার প্রতি। ঈমান আনলাম তোমার উপর, ভরসা করলাম তোমার উপর। তোমার দিকেই আমি ফিরি, তোমার সাহায্যেই আমি লড়ি, তোমার কাছেই বিচার প্রার্থনা করি। আমার আগের পরের ভিতরের বাহিরের সব গুনাহ তুমি ক্ষমা করে দাও। তুমিই আগে বাড়াও তুমি পিছে হটাও। তুমি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নয়। -সহীহ বোখারী, ১১২০ দু‘আ নং ১২ রুকুর মধ্যে করণীয় যিকির-১ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ ছুবহ্বা-না রব্বিয়াল ‘আযীম। আমি আমার মহান প্রভুর প্রবিত্রতা বর্ণনা করছি। -সহীহ মুসলিম, ২০৩ দু‘আ নং ১৩ রুকুর মধ্যে করণীয় যিকির-২ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ছুবহ্বা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা- ওয়াবি হ্বামদিকা, আল্লা-হুম্মাগ ফিরলী। হে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ! আমি তোমার সপ্রশংস প্রবিত্রতা বর্ণনা করি। আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করো। -সহীহ বোখারী, ৭৯৪ দু‘আ নং ১৪ বিতির নামাযে পাঠ্য দু‘আ-২ اللهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ (وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْك) وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ كُلَّهُ وَنَشْكُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ আল্লা-হুম্মা ইন্না নাছতা‘ঈনুকা ওয়া নাছতাগফিরুকা, ওয়া নুঅমিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়ানুছনী ‘আলাইকাল খইরা কুল্লাহু ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা- নাকফুরুকা, ওয়া নাখলা‘উ ওয়ানাতরুকু মাইঁ য়াফজুরুকা। আল্লা-হুম্মা ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়ালাকা নুসল্লী, ওয়া নাছজুদু ওয়া ইলাইকা নাছ‘আ-, ওয়া নাহ্বফিদু ওয়া নারজূ রহ্বমাতাকা, ওয়া নাখশা- ‘আযা-বাকা, ইন্না ‘আযা-বাকা বিল কুফফা-রি মুলহ্বিক্ব। হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাই, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি, (তোমার প্রতি ঈমান রাখি, তোমার উপর ভরসা করি)। সকল কল্যাণের জন্য তোমার প্রশংসা করি এবং শোকর করি, কোনো নাশোকরি করি না। আর যে তোমার নাফরমানি করে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি, তাকে আমরা পরিত্যাগ করি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমার জন্যই নামায পড়ি, তোমার সামনেই সেজদা করি। তোমার প্রতি ধাবিত হই তোমার দিকেই ছুটে যাই। তোমার রহমতের আশা রাখি এবং তোমার শাস্তিকে ভয় পাই। নিশ্চই তোমার শাস্তি আপতিত হবে কাফেরদের উপর। তাহাবী শরীফ, ১৪৭৫. হাদীসের সূত্র: সহীহ. মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা (বন্ধনী অংশ) ৩০৩৩৭. দু‘আ নং ১৫ এস্তেখারার দু‘আ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ، وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلاَّمُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاقْدُرْهُ لِي، وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، واقْدُرْ لِيَ الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي بِهِ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আছতাখীরুকা বি‘ইলমিকা, ওয়া আছতাক্ব দিরুকা বিক্বুদরতিকা, ওয়া আছআলুকা মিন ফাযলিকাল ‘আযীম, ফা ইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা- আক্বদিরু ওয়া তা’লামু ওয়ালা আ’লামু ওয়া আনতা ‘আল্লা-মুল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইনকুনতা তা’লামু আন্না হা-যাল আমরা খইরুনলী ফী দীনী ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, ফাক্বদুরহুলী ওয়া য়াছছিরহুলী ছুম্মা বা-রিকলী ফীহ। ওয়া ইনকুনতা তা’লামু আন্না হা-যাল আমরা শাররুনলী ফী দীনী ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, ফাসরিফহু ‘আন্নী ওয়াসরিফনী ‘আনহু, ওয়াক্বদুর লিয়াল খইরা হ্বাইছু কা-না ছুম্মা আরযিনী বিহী। হে আল্লাহ! তোমার ইলমের মাধ্যমে মঙ্গলময় বিষয়টি স্থির করতে চাই। তোমার কুদরত ও ক্ষমতার সাহায্যে আমি সক্ষমতা অর্জন করতে চাই। তোমার কাছেই তোমার মহা অনুগ্রহ প্রার্থনা করি। কারণ তুমি সক্ষম আমি অক্ষম। তুমি বিজ্ঞ আমি অজ্ঞ, তুমি গায়েবের মহা জ্ঞানী। হে আল্লাহ! যদি তুমি জানো, উদ্দিষ্ট বিষয়টি আমার দ্বীন-দুনিয়া ও শেষ পরিণামের ক্ষেত্রে কল্যাণকর, তবে তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দাও, সহজ করো এবং বরকত দাও। আর যদি জানো, তা আমার দ্বীন-দুনিয়া ও শেষ পরিণামের ক্ষেত্রে অনিষ্টকর, তবে আমার থেকে তা দূরে সরিয়ে দাও, আমার মনও তা থেকে উঠিয়ে দাও। বরং যেখানে যাতে কল্যাণ আছে আমার জন্য তা নির্ধারণ করে দাও এবং তার মাধ্যমে আমাকে তুষ্ট করো। -সহীহ বোখারী, ৬৩৮২ দু‘আ নং ১৬ জানাযার নামাযে পাঠ্য দু‘আ-১ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا ، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا ، وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا ، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا ، اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الإِسْلاَمِ ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الإِيمَانِ ، اللَّهُمَّ لاَ تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ ، وَلاَ تُضِلَّنَا بَعْدَهُ. আল্লা-হুম্মাগ ফিরলি হ্বাইয়িনা- ওয়া মাইয়িতিনা-, ওয়া শা-হিদিনা- ওয়া গাইবিনা-, ওয়া সগীরিনা- ওয়া কাবীরিনা-, ওয়া যাকারিনা- ওয়া উনছা-না-, আল্লা-হুম্মা মান আহ্বয়াইতাহু মিননা- ফাআহ্বয়িহী ‘আলাল ইছলাম, ওয়া মান তাওয়াফ ফাইতাহূ মিননা- ফাতাওয়াফ ফাহূ ‘আলাল ঈমান। আল্লা-হুম্মা লা-তাহ্বরিমনা- আজরাহূ ওয়ালা- তুযিল্লানা- বা’দাহূ। হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত-মৃত, উপস্থিত-অনুপস্থিত, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকলকে তুমি ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্য থেকে যাদেরকে হায়াতে রাখবে তাদেরকে শরীয়তের উপর রেখো। যাদেরকে মৃত্যু দিবে ঈমানের উপর দিও। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তার বিচ্ছেদ-বেদনার সওয়াব থেকে বঞ্চিত করো না। তার মৃত্যুর পর আমাদের বিভ্রান্ত করো না। -সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৪৯৮. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু‘আ নং ১৭ জানাযার নামাযে পাঠ্য দু‘আ-২ اللهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَاعْفُ عَنْهُ وَعَافِهِ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِمَاءٍ وَثَلْجٍ وَبَرَدٍ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ، وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ. আল্লা-হুম্মাগফির লাহূ ওয়ার হ্বামহু, ওয়া’ফু ‘আনহু ওয়া ‘আ-ফিহী, ওয়া আকরিম নুঝুলাহূ ওয়া ওয়াছছি’ মুদখালাহূ, ওয়াগছিলহু বিমা-ইন ওয়া ছালজিন ওয়া বারাদিন, ওয়া নাকক্বিহী মিনাল খত্বা-য়া- কামা- য়ুনাকক্বাছ ছাওবুল আবয়াযু মিনাদ দানাছি, ওয়া আবদিলহু দারান খইরাম মিন দা-রিহী, ওয়া আহলান খইরাম মিন আহলিহী, ওয়া ঝাওজান খইরাম মিন ঝাওজিহী। ওয়াক্বিহী ফিতনাতাল ক্ববরি ওয়া ‘আযা-বান্না-রি। হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করো রহম করো, মার্জনা করো সুরক্ষা দাও। তার আপ্যায়ন সম্মানজনক করো। তার সমাধি প্রশস্ত করো। তাকে ধুয়ে দাও পানি দিয়ে বরফ দিয়ে শিশির দিয়ে। ময়লা থেকে সাদা কাপড় যেমন পরিষ্কর করা তাকেও তেমনি গুনাহ থেকে পাক-সাফ করে দাও। দুনিয়ার বাড়ি থেকে উত্তম বাড়ি, উত্তম পরিবার, উত্তম সঙ্গী তাকে দান করো। এবং তাকে কবর ও দোযখের আযাব থেকে মুক্তি দাও। -সহীহ মুসলিম, ৯৬৩ দু‘আ নং ১৮ জানাযার নামাযে পাঠ্য দু‘আ-৩ اللَّهُمَّ إِنَّهُ عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ كَانَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ. وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ. اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ مُحْسِنًا، فَزِدْ فِي إِحْسَانِهِ. وَإِنْ كَانَ مُسِيئًا، فَتَجَاوَزْ عَنْ سَيِّئَاتِهِ. اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلَا تَفْتِنَّا بَعْدَهُ আল্লা-হুম্মা ইন্নাহূ আবদুকা ওয়াবনু ‘আবদিকা ওয়াবনু আমাতিকা, কা-না য়াশহাদু আনলা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা, ওয়া আন্না মুহ্বাম্মাদান ‘আবদুকা ওয়া রসূলুকা, ওয়া আনতা আ’লামু বিহী। আল্লা-হুম্মা ইনকা-না মুহ্বছিনান ফাঝিদ ফী ইহ্বছা-নিহী, ওয়া ইনকা-না মুছীআন ফাতাজা-ওয়াঝ ‘আন ছায়্যিআ-তিহী। আল্লা-হুম্মা লা-তাহ্বরিমনা- আজরাহূ ওয়ালা- তাফতিন না-বা’দাহূ। হে আল্লাহ! এই মৃত ব্যক্তি তোমারই দাস। বরং তোমার দাস-দাসীর ঘরে জন্ম নেওয়া দাস। সে সাক্ষ্য দিতো যে, তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং নবী মুহাম্মাদ হলেন তোমার বান্দা ও রাসুল। আর তুমি তো তার এ সাক্ষ্যের কথা ভালো করেই জানো। হে আল্লাহ! যদি লোকটি নেক্কার হয়ে থাকে তবে তার নেকী বাড়িয়ে দাও। আর বদকার হয়ে থাকলে তা এড়িয়ে যাও। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তার বিচ্ছেদ-বেদনার সওয়াব থেকে বঞ্চিত করো না। তার মৃত্যুর পর আমাদের ফেতনায় ফেলে দিও না। -মোয়াত্তা মালেক, ১৭. হাদীসের সূত্র: সহীহ দু‘আ নং ১৯ রুকুর মধ্যে করণীয় যিকির-৩ اللهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي، وَبَصَرِي، وَمُخِّي، وَعَظْمِي، وَعَصَبِي আল্লা-হুম্মা লাকা রাকা’তু ওয়া বিকা আ-মানতু, ওয়া লাকা আছলামতু, খাশা‘আ লাকা ছাম‘ঈ ওয়া বাসারী, ওয়া মুখ্যী ওয়া ‘আযমী ওয়া ‘আসাবী। হে আল্লাহ! তোমার সামনে রুকু করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার প্রতি সমর্পিত হলাম। আমার চক্ষু-কর্ণ, অস্থি-মজ্জা, শিরা-স্নায়ু সবই তোমার সামনে বিনয়াবত হলো। -সহীহ মুসলিম, ২১০ দু‘আ নং ২০ রুকু হতে দাঁড়িয়ে করণীয় যিকির-১ رَبَّنَا لَكَ الحَمْد রব্বানা- লাকাল হ্বামদ। হে আমাদের মালিক! তোমার জন্যই সকল প্রশংসা। -সহীহ বোখারী, ৭২২ দু‘আ নং ২ রুকু হতে দাঁড়িয়ে করণীয় যিকির-২ رَبَّنَا وَلَكَ الحَمْدُ حَمْداً كَثِيراً طَيِّباً مُبَارَكاً فِيهِ রব্বানা- ওয়া লাকাল হ্বামদ। হ্বামদান কাছীরান ত্বয়্যিবান মুবা- রকান ফীহ। হে আমাদের প্রতিপালক! তোমারই প্রশংসা, যা তোমার নেয়ামতের মতোই পর্যাপ্ত-প্রচুর। এই প্রশংসা প্রদর্শনেচ্ছামুক্ত এবং বড় বরকতময়। -সহীহ বোখারী, ৭৯৯ দু‘আ নং ২২ রুকু হতে দাঁড়িয়ে করণীয় যিকির-৩ اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ، مِلْءُ السَّمَاوَاتِ وَمِلْءُ الْأَرْضِ، وَمِلْءُ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ، أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ، لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ আল্লা-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হ্বামদ। মিল-উছ ছামা-ওয়া-তি ওয়া মিলউল আরযি, ওয়া মিল-উ মা- শিঅতা মিন শাইইন বা’দু। আহলাছ ছানা-ই ওয়াল মাজদি, লা-মা-নি‘আ লিমা- আ’ত্বইতা। ওয়ালা- মু’ত্বিয়া লিমা- মানা’তা, ওয়ালা- য়ানফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু। হে আল্লাহ! হে আমাদের রব্! আকাশমন্ডল ও ভূমন্ডল-পূর্ণ প্রশংসা তোমার জন্য এবং তুমি আরও যা চাও তা পূর্ণ। হে পূর্ণ প্রশংসা ও চূড়ান্ত সম্মানের মালিক! কেউ তোমার দান রোধ করতে পারে না। তুমি দান রুদ্ধ করলে কেউ তা দিতে পারে না। (আমল ছাড়া) সামর্থ্যবানের সামর্থ্য কোনো কাজে আসবে না। -সহীহ মুসলিম, ৪৭১ দু‘আ নং ২৩ সাজদার দু‘আ ও যিকির-১ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى ছুবহ্বা-না রব্বিয়াল আ’লা-। আমি আমার মহা মহীয়ান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। -সহীহ মুসলিম, ৭৭২ দু‘আ নং ২৪ সাজদার দু‘আ ও যিকির-২ اللهُمَّ أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ আল্লা-হুম্মা আ‘উযু বিরিযা-কা মিন সখত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফাতিকা মিন ‘উকূবাতিকা, ওয়া আ‘উযুবিকা মিনকা, লা-উহ্বসী ছানা-আন ‘আলাইকা আনতা কামা আছনাইতা ‘আলা- নাফছিক। হে আল্লাহ! আমি তোমার ক্রোধ থেকে তোমার সন্তুষ্টির পানাহ চাই, তোমার ক্ষমাগুণের উসিলায় তোমার আযাব থেকে মুক্তি চাই। তোমার শাস্তি থেকে তোমার কাছেই আশ্রয় চাই। আমি তোমার প্রশংসা গনে শেষ করতে পারবো না। তুমি ঠিক তেমন, নিজের প্রশংসা যেমন তুমি করেছো। -সহীহ মুসলিম, ২২২ দু‘আ নং ২৫ সাজদার দু‘আ ও যিকির-৩ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ، دِقَّهُ وَجِلَّهُ، أَوَّلَهَ وَآخِرَهُ، وَعَلاَنِيَتَهُ وَسِرَّهُ আল্লা-হুম্মাগ ফিরলী যামবী কুল্লাহূ, দিকক্বাহূ ওয়া জুল্লাহূ, আউওয়ালাহূ ওয়া আ-খিরাহূ, ওয়া ‘আলা-নিয়াতাহূ ওয়া ছিররাহূ। হে আল্লাহ! আমার ছোট-বড় আগের পরের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব গুনাহ তুমি ক্ষমা করে দাও। -সহীহ মুসলিম, ২১৬ দু‘আ নং ২৬ সাজদার দু‘আ ও যিকির-৪ اللهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ আল্লা-হুম্মা লাকা ছাজাদতু, ওয়াবিকা আ-মানতু, ওয়ালাকা আছলামতু, ছাজাদা ওয়াজহী লিল্লাযী খালাকাহূ ওয়া সউওয়ারাহ। ওয়াশাকক্বা ছাম‘আহূ ওয়া বাসারাহ। তাবারাকাল্লাহু আহ্বছানুল খ-লিক্বীন। হে আল্লাহ! তোমার জন্য সাজদা করলাম, তোমার উপরই ঈমান আনলাম, তোমার কাছেই সমর্পিত হলাম। আমার চেহারা সাজদা করলো সেই সত্ত্বার জন্য, যিনি তা সৃষ্টি করেছেন, আকৃতি দান করেছেন এবং তা দীর্ণ করে কান ও চোখ বের করেছেন। আল্লাহ মহিমাময় সর্বোত্তম স্রষ্টা। -সহীহ মুসলিম, ২০১ দু‘আ নং ২৭ তেলাওয়াতের সাজদার দু‘আ اللَّهُمَّ اكْتُبْ لِي بِهَا عِنْدَكَ أَجْرًا، وَضَعْ عَنِّي بِهَا وِزْرًا، وَاجْعَلْهَا لِي عِنْدَكَ ذُخْرًا، وَتَقَبَّلْهَا مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَهَا مِنْ عَبْدِكَ دَاوُدَ আল্লা-হুম্মাক তুবলী বিহা- ‘ইনদাকা আজরা, ওয়া য’‘আন্নী বিহা- উইঝরা। ওয়াজ‘আল লী ‘ইনদাকা যুখরা। ওয়াতা ক্বব্বালহা- মিন্নী কামা-তা ক্বব্বালতাহা- মিন ‘আবদিকা দা-ঊদ। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমার জন্য এই সাজদার সওয়াব লিখে নাও, এর উসিলায় আমার উপর থেকে গুনাহের বোঝা নামিয়ে দাও, তোমার কাছে আমার জন্য তা সঞ্চয় বানিয়ে নাও। আমার তরফ থেকে তা কবুল করে নাও, যেমন নবী দাউদ আলাইহিস সালাম থেকে তুমি কবুল করেছো। -সুনানে তিরমিযী, ৩৪২৪. হাদীসের সূত্র: হাসান দু‘আ নং ২৮ নামায শেষে সালাম ফেরানোর আগে করণীয় দু‘আ-১ اللَّهُمَّ إنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْماً كَثِيراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحِيمُ আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফছী যুলমান কাছীরা-, ওয়ালা- য়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা। ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা, ওয়ার হ্বামনী ইন্নাকা আনতাল গফূরুর রহীম। হে আল্লাহ! আমি গুনাহ করে নিজের উপর বহু অবিচার করেছি। তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না। সুতরাং আপন অনুগ্রহে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমার প্রতি দয়া করো। নিশ্চই শুধু তুমিই মহা ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। -সহীহ বোখারী, ৮৩৪ দু‘আ নং ২৯ নামায শেষে সালাম ফেরানোর আগে করণীয় দু‘আ-২ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَأَعُوذ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَسِيحِ الدَجَّالِ، وَأَعُوذ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا، وَفِتْنَةِ المَمَاتِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذ بِكَ مِنَ المَأْثَمِ وَالمَغْرَمِ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিন ‘আযাবিল ক্ববরি, ওয়া আ‘উযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাছীহিদ দাজ্জালি, ওয়া আ‘উযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহ্বয়া ওয়াল মামা-তি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিনাল মাঅছামি ওয়াল মাগরমি। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাই। পানাহ চাই মসীহে দাজ্জালের ফেতনা থেকে। জীবিত কালীন ও মৃত্যুকালীন নানা ফেতনা থেকে পানাহ চাই, পাপ ও ঋণের বোঝা থেকে পানাহ চাই। -সহীহ বোখারী, ৮৩২ দু‘আ নং ৩০ নামায শেষে সালাম ফেরানোর আগে করণীয় দু‘আ-৩ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَسْرَفْتُ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ المُقَدِّمُ وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ আল্লা-হুম্মাগ ফিরলী মা- ক্বদ্দামতু ওয়ামা- আখ্যরতু, ওয়ামা- আছরারতু ওয়ামা- আ’লানতু, ওয়ামা-আছরাফতু ওয়ামা- আনতা আ’লামু বিহী মিন্নী, আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখ্যিরু, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা। হে আল্লাহ! আমার যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দাও, যা আমি আগে করেছি বা পরে করে বসতে পারি এবং যা গোপনে করেছি বা প্রকাশ্যে করেছি। যা বেপরোয়া হয়ে করেছি এবং যে ব্যাপারে আমার চে তুমিই অধিক অবগত। তুমিই হেদায়েতের পথে আগে বাড়াও কিংবা পিছে হটাও। তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। -সহীহ মুসলিম, ২০১ আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকেই আমল করার তৈফিক দান করুন। আমিন।

Post a Comment

0 Comments